সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন শেষ হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে এ আবেদন নেওয়া হয়। ১৮ দিনে আবেদন জমা পড়েছে পৌনে ১০ লাখেরও বেশি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এখন ডিজিটাল লটারির অপেক্ষায়।
ভর্তির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী- আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ১২ ডিসেম্বর লটারি হওয়ার কথা ছিল। তবে টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে তা পিছিয়ে ১৭ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি (মহানগর ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন
- চট্টগ্রামে ১০ সরকারি স্কুলে প্রতি আসনের বিপরীতে ৬২টি আবেদন
- স্কুলে ভর্তি: ১৭ দিনে সাড়ে ৮ লাখ আবেদন, চলবে আরও দুদিন
- সরকারিতে আসনের চারগুণ আবেদন, সাড়া নেই বেসরকারিতে
সিদ্ধান্তের আলোকে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি লক্ষ্যে শিক্ষার্থী নির্বাচন অনুষ্ঠান ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। লটারি অনুষ্ঠানের সময়সূচি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অবহিত করা হলো।
সরকারি স্কুলে তীব্র লড়াই, বেসরকারিতে ফাঁকা থাকবে আসন
মাউশি সূত্র জানায়, গত ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। ১৮ দিনে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে।
যার মধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন পড়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি। আর বেসরকারি স্কুলে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি। এবার সরকারি-বেসরকারি ৫ হাজার ৬২৫টি বিদ্যালয়ে মোট ফাঁকা আসন আছে ১১ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৩টি।
মাউশির তথ্যানুযায়ী, ৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২ জন। সরকারিতে স্কুল আবেদনকারীরা পছন্দ (চয়েস) দিয়েছেন ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫০টি।
অন্যদিকে, ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শূন্য আসন রয়েছে ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি। বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে ভর্তির পরও বেসরকারি স্কুলে আসন শূন্য থাকবে।
এএএইচ/এমএএইচ/