বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক তাদের উদ্ভাবিত ‘মস্তিষ্ক চিপ’ প্রযুক্তি নিয়ে প্যারালাইসড বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের জন্য নতুন আশা নিয়ে এসেছে।
একই সঙ্গে এ প্রযুক্তি মস্তিষ্ক এবং যন্ত্রের মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে, যার মাধ্যমে প্যারালাইসড ব্যক্তিরা চিন্তা করে বিভিন্ন যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
নিউরালিংকের ‘মস্তিষ্ক চিপ’-এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য সম্প্রতি কানাডার সরকার অনুমতি দিয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) নিউরালিংক জানায়, কানাডার ইউনিভার্সিটি হেলথ নেটওয়ার্ক হাসপাতাল, টরন্টো শাখায় এই ট্রায়াল পরিচালনা করবে। এই প্রযুক্তি মূলত কোয়াড্রিপ্লেজিয়া (চারটি অঙ্গ পক্ষাঘাতগ্রস্ত) রোগীদের জন্য তৈরি, যাতে তারা চিন্তা করে যন্ত্রগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন।
২০১৬ সালে ইলন মাস্ক নিউরালিংক প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো মানুষের মস্তিষ্ক এবং যন্ত্রের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা। নিউরালিংক তৈরি করেছে এমন একটি চিপ, যা মস্তিষ্কের স্নায়ু সংকেতের মাধ্যমে কম্পিউটার, স্মার্টফোনসহ অন্যান্য যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এর মাধ্যমে প্যারালাইসড রোগীরা চলাফেরা না করে, শুধু চিন্তা করে যন্ত্রগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, যা আগে কল্পনাতীত ছিল।
নিউরালিংক এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি স্বেচ্ছাসেবীর মস্তিষ্কে চিপ স্থাপন করেছে। প্রথম ট্রায়ালটি সফল হয়নি, তবে দ্বিতীয় ট্রায়ালটি সফল হয়েছে। যা ভবিষ্যতের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নিউরালিংকের তৈরি মস্তিষ্ক চিপ শুধু পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের জন্য নয়, ভবিষ্যতে এটি অন্যান্য স্নায়ুজনিত রোগ, যেমন স্মৃতিভ্রংশ (ডিমেনশিয়া) এবং অ্যালঝাইমার চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হতে পারে। এছাড়া নিউরালিংকের এই প্রযুক্তি পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে, যা তাদের জীবনের মান উন্নত করার জন্য সহায়ক হতে পারে।