লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শেফালী বেগম (৫০) ও ভাবনা আক্তার (২৪) নামে দুই নারীকে বেদম মারধর ও নির্যাতন করেছেন রাশেদ আলম নামে এক যুবলীগ নেতা।
এ ঘটনার একটি ভিডিও রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। মারধরকারী যুবলীগ নেতার বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। তবে ঘটনার পর থেকে যুবলীগ নেতা রাশেদ এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে।
রাশেদ আলম সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের সাহাদুল্লাহ্ হাজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রাশেদ ওই বাড়ির মৃত মাহবুবুল ইসলামের ছেলে। নির্যাতনের শিকার ওই দুই নারী একে অপরের আত্মীয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ভুক্তভোগী ভাবনা আক্তার জানান, নানার বাড়িতে তার মা ফাতেমা আক্তার ২০০৩ সালে কিছু জমি ক্রয় করেন। সেই জমি জোরপূর্বক তার মামাতো ভাই রাশেদ বিক্রি করে দেয়। ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে রোববার দুপুরে ভাবনা ও তার খালাতো বোন শেফালী বেগম বাধা দেয়। একপর্যায়ে অভিযুক্ত রাশেদ তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।
১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজনের সামনে ওই নারীকে কাঠ দিয়ে মারধর করছে রাশেদ নামের ওই যুবক। তাকে স্থানীয় কিছু লোক আটকানোর চেষ্টা করছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মারধরের শিকারের কথা উল্লেখ করে দুই নারী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ কালবেলাকে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে ও জড়িত রাশেদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।