‘প্রতারণার মাধ্যমে পশু বিক্রি করে বিপুল টাকা আয় করেন ইমরান’

3 hours ago 6

প্রতারণার মাধ্যমে দেশি গরু-ছাগলকে বিদেশি ও বংশীয় পশু বলে প্রচার করে এবং এগুলো উচ্চমূল্যে কোরবানির হাটে বিক্রি করে সাদেক এগ্রোর মালিক মো. ইমরান হোসেন। এতে তিনি অবৈধভাবে আয় করেছেন ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকালে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একরামুল হাবীব।

এর আগে গতকাল সোমবার (৩ মার্চ) বিকালে রাজধানীর মালিবাগ থেকে ১৩৩ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে করা মামলার প্রধান আসামি সাদিক এগ্রোর মালিক মো. ইমরান হোসেনকে (৪৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ডিআইজি একরামুল হাবীব বলেন, অভিযুক্ত মো. ইমরান হোসেন ও তৌহিদুল আলম জেনিথ এবং তাদের অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সাদিক এগ্রো লিমিটেড সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মাধমে চোরাচালান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা পাচার করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ব্রাহমা জাতের গরুর বিষয়ে তিনি বলেন, আসামি ইমরান কাস্টমস হাউসে আটক এবং সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে হেফাজতে থাকা ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জবাই করে ন্যায্য মূল্যে মাংস বিক্রির কথা থাকলেও জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্রে সেগুলো জবাই দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা জবাই না করে গরুগুলো কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ইমরান হোসেনসহ অন্যান্য সহযোগীরা বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জিত ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা এবং ইমরানের প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে এফডিআর খুলে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা লন্ডারিংয়ে রুপান্তর করেন। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর থানা, ঢাকার বেড়িবাঁধ এলাকায় রামচন্দ্রপুর সরকারী খাল ভরাট ও জবর দখল করে সাদিক এগ্রোর মালিক মো. ইমরান হোসেন তার অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।

সিআইডির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এই সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে  কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মায়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রি এবং ভুটান ও নেপাল থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।

তিনি প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু ছাগলকে বিদেশী ও বংশীয় পশু বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে তা কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করে অবৈধভাবে আয় করে প্রায় ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

এক প্রশ্নের জবাবে একরামুল হাবীব বলেন, ইমরানের সহযোগী বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার জেনিথ এখনো গ্রেপ্তার হননি। তার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে।

Read Entire Article