প্রতিদিন একটি গাজর খেলে ফল পাবেন স্বাস্থ্যে ও ত্বকে
শীতের সবজি যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তা আমরা সবাই জানি। শুধু উপকারীই না, শীতের টাটকা সবজির স্বাদও তেমনই চমৎকার। তবে এ মৌসুমে প্রতিদিন মাত্র একটি গাজরই শরীরকে যে পরিমাণ পুষ্টি দিতে পারে, তা অনেকেই জানেন না। গাজর চোখের জন্য ভালো — এ ধারণা পুরোনো। আধুনিক গবেষণা বলছে, গাজর হৃদ্যন্ত্র, ত্বক, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখতে পারে। তাই পুষ্টিবিদরা গাজরকে প্রতিদিন খাওয়ার মতো নিরাপদ সবজির তালিকায় রাখেন। ১. চোখের সুরক্ষায় গাজর সবচেয়ে কার্যকর গাজরে আছে উচ্চ মাত্রার বিটা-ক্যারোটিন, যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। ভিটামিন এ চোখের কোষকে সুরক্ষা দেয়, ফলে রাতকানা বা ড্রাই আই এর ঝুঁকি কমে। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল বলছে, নিয়মিত বিটা-ক্যারোটিন গ্রহণ বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিহানি কমাতে সাহায্য করে। ২. হার্ট ভালো রাখে গাজরে রয়েছে পটাসিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। পাশাপাশি এর ফাইবার রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত গাজর খেলে কোলেস্টেরল ৫–১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। ৩. ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর
শীতের সবজি যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তা আমরা সবাই জানি। শুধু উপকারীই না, শীতের টাটকা সবজির স্বাদও তেমনই চমৎকার। তবে এ মৌসুমে প্রতিদিন মাত্র একটি গাজরই শরীরকে যে পরিমাণ পুষ্টি দিতে পারে, তা অনেকেই জানেন না।
গাজর চোখের জন্য ভালো — এ ধারণা পুরোনো। আধুনিক গবেষণা বলছে, গাজর হৃদ্যন্ত্র, ত্বক, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখতে পারে। তাই পুষ্টিবিদরা গাজরকে প্রতিদিন খাওয়ার মতো নিরাপদ সবজির তালিকায় রাখেন।
১. চোখের সুরক্ষায় গাজর সবচেয়ে কার্যকর
গাজরে আছে উচ্চ মাত্রার বিটা-ক্যারোটিন, যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। ভিটামিন এ চোখের কোষকে সুরক্ষা দেয়, ফলে রাতকানা বা ড্রাই আই এর ঝুঁকি কমে।
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল বলছে, নিয়মিত বিটা-ক্যারোটিন গ্রহণ বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিহানি কমাতে সাহায্য করে।
২. হার্ট ভালো রাখে
গাজরে রয়েছে পটাসিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। পাশাপাশি এর ফাইবার রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত গাজর খেলে কোলেস্টেরল ৫–১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
৩. ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর রাখে
বিটা-ক্যারোটিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, দূষণ ও ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ফলে বলিরেখা কম দেখা যায়, ত্বকের রং উজ্জ্বল হয় এবং দ্রুত বয়সের ছাপ পড়া কমে।
৪. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
গাজরের ভিটামিন সি ও বিটা-ক্যারোটিন ইমিউন সেল বা লোহিত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায়। তাই ঠান্ডা, কাশি বা মৌসুমি সংক্রমণের সময় প্রতিদিন একটি গাজর অনেকটা সুরক্ষা দেয়।
৫. হজমে সহায়তা
গাজর একটি উচ্চ ফাইবারযুক্ত সবজি, যা অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত গাজর খাওয়া ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া উন্নত করে, লিভারের স্বাভাবিক কাজেও সহায়তা করে।
৬. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে
গাজরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে বিটা-ক্যারোটিন ও লুটেইন, ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ধীর করতে পারে বলে কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট জানায়, গাজরের মতো রঙিন সবজি শরীরের কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, যা ক্যানসারের একটি প্রধান কারণ।
৭. ওজন কমাতেও সহায়ক
গাজর কম ক্যালোরির খাবার, কিন্তু পেট ভরিয়ে রাখে দীর্ঘক্ষণ। তাই যারা ওজন কমানোর ডায়েটে আছেন, তাদের জন্য এটি আদর্শ স্ন্যাক্স।
কতটা খাওয়া নিরাপদ?
প্রতিদিন ১টি মাঝারি আকারের গাজর (প্রায় ৬০–৭০ গ্রাম) পুরোপুরি নিরাপদ এবং দৈনিক ভিটামিন এ-এর চাহিদার ৭০–৯০ শতাংশ পূরণ করতে পারে।
সূত্র: হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল, ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট (যুক্তরাষ্ট্র), জার্নাল অব নিউট্রিশন
এএমপি/এমএস
What's Your Reaction?