প্রতিদিন তিনটি কাজ করলেই ফুসফুস হবে বিষমুক্ত
ফুসফুস মেরুদণ্ডী প্রাণীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহৃত হয়। এর প্রধান কাজ হচ্ছে বাতাস থেকে অক্সিজেনকে রক্তপ্রবাহে নেওয়া এবং রক্তপ্রবাহ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইডকে বাতাসে নিষ্কাশন করা।
তবে দিন দিন শহরে দূষণ বৃদ্ধি, নিম্নমানের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা এবং দীর্ঘদিন ধরে ধূমপানের ফলে ফুসফুস সংক্রান্ত অনেক রোগ হয়ে থাকে।
ফুসফুসে সংক্রান্ত বেড়ে গেলে টিবি, অ্যাজমা, ফুসফুসের ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে হলে ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে হবে। তবে এ ফুসফুসকে কীভাবে সুস্থ রাখা যায়? ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ফুসফুসকে সুস্থ রাখা যায়-
ফুসফুসকে সুস্থ রাখার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় ইয়োগা বা যোগব্যায়াম করা। যোগব্যায়াম শুধু ফুসফুসকে ভালোই রাখে না, এর কার্যকারিতাও বাড়ায়।
প্রতিদিন যোগব্যায়াম অনুশীলনের ফলে ফুসফুসে অক্সিজেনের সরবরাহ বেড়ে যায় এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে ফুসফুস ভালো রাখতে কোন যোগব্যায়ামগুলো করবেন?
তিনটি যোগব্যায়াম রয়েছে যা নিয়মিত অনুশীলন করলে ফুসফুস শক্তিশালী এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যোগব্যায়াম তিনটি হলো- বালাসন, বজ্রাসন এবং পবনমুক্তাসন।
বালাসন: বালাসন করতে প্রথমে পা বাঁকিয়ে বজ্রাসনে বসতে হবে। এরপরে, নিজেদের উভয় হাত উপরে নিতে হবে এবং সামনে বেঁকে যেতে হবে। এরপর নিজেদের হাতের তালু মেঝেতে রেখে মাটির দিকে মাথা নিচু করতে হবে। এই আসনটি করলে ওজনও কমে। এর সঙ্গে শরীরের ব্যথা ও মানসিক চাপও দূর হবে।
পবনমুক্তাসন: পবনমুক্তাসন করতে কেবল নিজেদের পিঠের ওপর শুয়ে থাকতে হবে এবং পা একসঙ্গে সোজা করতে হবে। এরপর নিজেদের ডান হাঁটু বুকের কাছে নিতে হবে। এ অবস্থাতেই গভীর শ্বাস নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাত দিয়ে হাঁটু শক্ত করে ধরে রাখতে হবে। হাত দিয়ে হাঁটু ঠিকমতো ধরলে বুকে কিছুটা চাপ অনুভব হবে, যা স্বাভাবিক। এবার শ্বাস ছাড়তে হবে এবং হাঁটু শিথিল করতে হবে। এবার বাম পা দিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটি এভাবে করে যেতে হবে। একবার এক পা দিয়ে, তারপর দুই পা দিয়ে করতে হবে।
বজ্রাসন: এই আসনটি করার জন্য নিজেদের হাঁটু পিছনে দিকে বাঁকাতে হবে। এর পরে মাথা, ঘাড় এবং মেরুদণ্ড একটি সরল রেখায় রেখে বসতে হবে।