প্রথম ইনিংসে মুখ থুবড়ে পড়ার ভয় কি কাটবে এবার?

2 hours ago 2

মিরপুর শেরে বাংলার পিচ বেশ ধীরগতির, বল নিচু হয়ে যায়। আর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট খানিক ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। বল ঢাকার চেয়ে একটু দ্রুত গতিতে ব্যাটে আসে। বাউন্সটাও ঢাকার চেয়ে বেশি।

যে কারণে ব্যাটাররা খেলে একটু স্বস্তি পান। রান করা তুলনামূলক সহজ। সে কারণে চট্টগ্রামে হওয়া টেস্টগুলোর স্কোরলাইনটাও থাকে বড়। তবে এ বছর বাংলাদেশের পারফরমেন্স্যার খুব বেশি হেরফেরের রেকর্ড নেই চট্টলায়ও।

একটি ছোট্ট পরিসংখ্যানেই মিলবে তার প্রমাণ। এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এ বছর মার্চে শেষ টেস্ট খেলেছে টিম বাংলাদেশ। ১০ মাস পর আবার এই মাঠে টেস্ট খেলতে নামবে টাইগাররা।

কিন্তু চট্টগ্রামে খেলতে নামার মাত্র ৪-৫ দিন আগে ঢাকায় হোম অব ক্রিকেটে বাংলাদেশ যেমন খেলেছে, ঠিক ১০ মাস আগে শ্রীলঙ্কার সাথেও গড়পড়তা টাইগারদের পারফরম্যান্স ছিল প্রায় একইরকম।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টেও যথারীতি প্রথম ইনিংসে দেড়শোর আশপাশে ইনিংস শেষ করে শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ।

লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসে করা ৫৩১ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭৮ রানে অলআউট হয়। প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে এগিয়ে থাকা লঙ্কানরা দ্বিতীয় ইনিংসে হাত খুলে দ্রুত ৭ উইকেটে ১৫৭ রান করে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। ফলে টাইগারদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১১ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১৮ করলেও ১৯২ রানের বড় পরাজয়ই মানতে হয় স্বাগতিকদের।

সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে আট নম্বরে নেমে ১১০ বলে ৮১ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টেস্টে ভালো ব্যাটার হিসেবে তার নতুন যাত্রা শুরু তখনই। তার সে ভালো খেলার ধারাবাহিকতা এখনো বজায় আছে।

পাকিস্তানের মাটিতে পর পর দুই টেস্টে ৭৭ ও ৭৮ রানের একজোড়া ‘বিগ ফিফটি’ উপহার দেওয়ার পর শেরে বাংলায় প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৭ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছেন মিরাজ।

সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বড় রোগ, প্রথম ইনিংসে মুখ থুবড়ে পড়া। ঢাকা টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছিল শান্তর দল। পরের ইনিংসে ৩০৭ রান করলেও লাভ হয়নি।

মোদ্দা কথা, ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম; যেখানেই খেলা হোক না কেন, বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বিশেষ করে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংয়ের চালচিত্র একই থাকে।

কাজেই চট্টগ্রামে সহজ সমীকরণ হলো, ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ভালো খেলতে হবে। প্রথম দিন বরাবরের মতো ১৫০-১৭০ রানে অলআউট হলে চলবে না। অন্তত ৩০০ রানের ঘরে পা রাখতে হবে।

প্রথম ইনিংসে একদিনের বেশি না হয় অন্তত একদিন পুরো উইকেটে টিকে থাকতে হবে। তবেই ম্যাচে থাকা যাবে। না হয় শুরুতেই ‘কম্ম সাবার’ হবে। শান্তর দল কি তা পারবে?

যদি পারে, তাহলে লড়াই হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকা যাবে। পরের কাজটা হবে বোলারদের। বোলাররা নিকট অতীত ও সাম্প্রতিক সময় একটা স্ট্যান্ডার্ড সেট করতে পেরেছেন। ব্যাটাররা তাদের লড়াকু পুঁজি গড়ে দিতে পারলেই হয়!

এআরবি/এমএমআর/এএসএম

Read Entire Article