রিয়াল মাদ্রিদের চাকরি ছেড়ে প্রথমবারেরমত কোনো জাতীয় দলের কোচের চাকরি নিলেন ৬৬ বছর বয়সী কার্লো আনচেলত্তি। শুরুতেই বিশাল চ্যালেঞ্জ। ব্রাজিলের মত বিশ্বসেরা দলকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট এবং সে সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপও জিততে হবে তাকে।
শুরু থেকে পরীক্ষা কঠিন থেকে কঠিনতরো; কিন্তু সবার আগে প্রথম কাজ ব্রাজিলের বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করা। শুরুতেই কঠিন পরীক্ষা। ইকুয়েডরের মাঠে গিয়ে খেলতে হলো তাকে। যে দলটি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে আর্জেন্টিনার ঠিক পরেই, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
সেই ইকুয়েডরের মাঠে খেলতে গিয়ে প্রথম পরীক্ষায় জিততে পারলেন না কার্লো আনচেলত্তি। হারলেনও না। গোলশূন্য ড্র করে আসতে হলো ভিনিসিয়ুস জুনিয়রদের।
ড্রয়ের ফলে অর্জন হলো এক পয়েন্ট। যদিও এই পয়েন্ট দিয়ে কোনো লাভ হয়নি। পয়েন্ট টেবিলে চার নম্বরেই থাকতে হচ্ছে সেলেসাওদের। ১৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২২। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইকুয়েডর এবং সমান পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বর স্থানে প্যারাগুয়ে।
ম্যাচে খুব বেশি আক্রমণাত্মক দেখা যায়নি আনচেলত্তির ব্রাজিলকে। অনেকটা ম্রিয়মান মনে হয়েছে। ম্যাচ পরিসংখ্যানেই পরিস্কার। ৪৭ ভাগ বলের দখল ছিল ব্রাজিলের। ৫৩ ভাগ ছিল ইকুয়েডরের। ব্রাজিল পুরো ম্যাচে ইকুয়েডরের জালে শট নিতে পেরেছে মাত্র ২টি। ইকুয়েডরও শট নিয়েছে ৩টি। তাদের শট নেয়ার চেষ্টা ছিল ৭টি। বিপরীতে ব্রাজিলের শট নেয়ার চেষ্টা ছিল মাত্র ৩টি।
ম্যাচটা কতটা ম্যাড়ম্যাড়ে এবং উত্তেজনাহীন ছিল, তা বোঝা যায় রেফারিকে একবারও হলুদ কার্ড বের করতে না হওয়ায়। অর্থ্যাৎ দুই দলই খেলে গেছে যেন নিজেদের বাঁচানোর লক্ষ্য। জয়ের লক্ষ্য যেন দুই দলের কারোরই ছিল না।
ম্যাচের ২২তম মিনিটে প্রথম গোলের চেষ্টা চালায় ব্রাজিল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পোস্টের সামনে, বাম পাশে ভালো জায়গায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন। তার ডান পায়ের দারুণ শটটি ঠেকিয়ে দেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক গঞ্জালো ভ্যালে।
২৫তম মিনিটে গোল পেতে পারতো ইকুয়েডর। তবে ব্রাজিল বেঁচে যায় গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের দৃঢ়তায়। মইসেস সেইসেদোর কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাম পায়ের দুর্দান্ত শট নেন জন ইয়েবোয়াহ। সেটি ঠেকিয়ে দেন অ্যালিসন।
৩৩তম মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের এক কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে অসাধারণ এক হেড নেন ক্যাসেমিরো। কিন্তু দুর্ভাগ্য, বলটি পোস্টের একটু ওপর দিয়ে চলে যায়। ৩৮তম মিনিটে ইকুয়েডরের জয় ইয়েবোয়াহ একটি দারুণ হেড নিয়েছিলেন। তার হেডটাও পোস্টের বাইরে চলে যায়।
৬৭ মিনিটে মইসেস সেইসেদোর কাছ থেকে বল পেয়ে সেই ইয়েবোয়াহ দারুণ একটি শট নেন। এবারও অ্যালিসন বেকারের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় ব্রাজিল। ৭৬ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাস থেকে বল পেয়ে ইকুয়েডরের জালে দারুণ এক শট নেন ক্যাসেমিরো। কিন্তু গোলরক্ষক গঞ্জালো ভ্যালের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় ব্রাজিল।
ম্যাচ শেষ হওয়ার খানিক আগে (৯০+৩ মিনিট) দারুণ একটি চেষ্টা ছিল ইকুয়েডরের। পারভিস এস্টুমিনানের বাম পায়ের শট পোস্টের বাম কোন ঘেঁষে বাইরে চলে যায়, বেঁচে যায় ব্রাজিলও।
আইএইচএস/এএসএম

 4 months ago
                        17
                        4 months ago
                        17
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·