২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর এ প্রথমবারের মত কোনো রুশ সেনাকে শাস্তির রায় শোনালো ইউক্রেনের আদালত। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নিহত ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করার পরেও তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দিমিত্রি কুরাশভ নামের রাশিয়ান সেনার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ইউক্রেনের আদালত।
আল-জাজিরা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ২৭ বছর বয়সী এ রুশ সেনা ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর জাপোরিঝিয়ার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন। তিনি প্রীইউতনে গ্রামে এক অভিযানের সময় আত্মসমর্পণ করা এক ইউক্রেনীয় সেনাকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করেন।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, কুরাশভ পূর্বে চুরির অপরাধে রাশিয়ায় কারাভোগ করেছিলেন। পরে ২০২৩ সালের নভেম্বরে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি ক্ষমা বিনিময় চুক্তি করেন এবং সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর ইউক্রেনীয় ওই সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছিল। সে সময় সে অস্ত্রহীনভাবে বেরিয়ে এসে হাত উঁচিয়ে আত্মসমর্পণের সংকেত দেয়। কুরাশভের অনুরোধে সে হাঁটু গেড়ে বসেও ছিল। কিন্তু এরপরই রুশ সেনা কুরাশভ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই ওই ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হয়।
একই দিনে আরেকটি মামলায় প্রমাণের অভাবে এক রুশ সেনার খালাস দেওয়া হয়েছে। কিয়েভ অঞ্চলের বুচা জেলার ব্লিস্তাভিৎসি গ্রামে ২০২২ সালের মার্চে একটি বাড়ি লুট করার অভিযোগে তিনি ইউক্রেনে আটক হয়েছিলেন।
কুরাশভের বিরুদ্ধে এ রায়কে অভূতপূর্ব বলে অভিহিত করেছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম কোনো রুশ সেনাকে নিরস্ত্র ইউক্রেনীয় সেনা হত্যার দায়ে দণ্ডিত করা হলো।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে যে, রুশ বাহিনী বহু ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিকে হত্যা করেছে কিন্তু এতদিন কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ইউক্রেনের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত তারা ২৬৮ জন যুদ্ধবন্দির হত্যার অভিযোগে ৭৫টি ফৌজদারি মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
কেএম

4 hours ago
7









English (US) ·