প্রথমবারের মতো আফ্রিকায় যাচ্ছে এপি ব্র্যান্ডের ‘গ্রিজ’

3 weeks ago 12

প্রথমবারের মতো আফ্রিকায় রপ্তানি হচ্ছে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য এপি ব্র্যান্ডের ‘গ্রিজ’। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এমভি এইচআর রিয়া নামের একটি জাহাজে করে ১৫ হাজার কেজি গ্রিজ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এটি রপ্তানি করছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড।

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ লুব ব্লেন্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ অর্পণ বলেন, একটা সময় ছিল যখন সব ধরনের ইঞ্জিন অয়েল এবং গ্রিজ বিদেশ থেকে আমদানির ওপর নির্ভর করে থাকতে হতো। তবে সরকার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আন্তরিকতা এবং সার্বিক সহযোগিতায় দেশেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইঞ্জিন অয়েল উৎপাদন হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদার প্রেক্ষিতে এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।

তিনি জানান, আমাদের এপি ব্র্যান্ডের গ্রিজ প্রথমবারের মতো আফ্রিকায় রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি লুব্রিকেটিং অয়েলও নিয়মিত রপ্তানি হবে। এনবিআরের ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যর্পণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নগদ প্রণোদনা পেলে বিভিন্ন দেশের বাজারে লুব্রিকেট এবং গ্রিজ পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ জায়গা করে নিতে পারবে।

চালানটির শিপমেন্টের দায়িত্বে থাকা ফ্রেইট ফরোওয়ার্ডিং প্রতিষ্ঠান এমডব্লিউআর লজিস্টিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, পেট্রোলিয়াম পণ্য হিসেবে গ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে আফ্রিকায়। আমরা সেটি রপ্তানির জন্য যাবতীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছি। এটি আমাদের দেশের সুনাম বাড়াবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি নতুন পথ উন্মোচন করবে। চালানটি বহনকারী জাহাজ এইচআর রিয়া আগামী ১ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। চালানটি ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট হয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আফ্রিকায় তার গন্তব্যে পৌছাতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে।

তৈরি পোশাক পণ্য বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য হলেও অপ্রচলিত অনেক পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়।

বাংলাদেশে লুব ব্র্যান্ডিং শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা জানান, রপ্তানি প্রক্রিয়া যত সহজ হবে এবং এ ধরনের পেট্রোলিয়াম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে যত বেশি উৎসাহ দেওয়া হবে তত বেশি রপ্তানির দুয়ার খুলবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পেট্রোলিয়াম পণ্যের বাজার বড় হওয়া মানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হওয়া।

আরএইচ/জেআইএম

Read Entire Article