প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িওয়ালাদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রতি বছরের শুরুতে ঢাকা শহরে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বাড়ি ভাড়া। ভাড়া নির্ধারণে সরকারের কোনো সংস্থার নীতিমালা নেই। ফলে যে যার মতো করে ভাড়া বাড়ান বাড়ির মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ির মালিকদের লাগাম টানার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসি ঢাকা শহরে ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের অধিকার নিয়ে প্রথমবারের মতো গোলটেবিল বৈঠক আহ্বান করেছে। এ বৈঠকে বাড়ি মালিক ও ভাড়াটিয়ারা অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি। সংস্থাটি জানায়, আগামী ২৭ নভেম্বর দুপুর দেড়টায় ঢাকার গুলশান-২ এর ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের হার, বছরে বৃদ্ধির হার নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সম্প্রতি ‘ঢাকা শহরে ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের অধিকার’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছেন ডিএনসিসি সচিব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। রোববার (২৩ নভেম্বর) ডিএনসিসির ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে এই বৈঠকের বিষয়টি জানিয়ে একটি পোস্টার আপলোড দেওয়া হয়। এই পোস্টের কমেন্টে রাজিব চৌধুরি নামে একজন লিখেন, বাসা ভাড়া নীতিমালা যদি থাকে
প্রতি বছরের শুরুতে ঢাকা শহরে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বাড়ি ভাড়া। ভাড়া নির্ধারণে সরকারের কোনো সংস্থার নীতিমালা নেই। ফলে যে যার মতো করে ভাড়া বাড়ান বাড়ির মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ির মালিকদের লাগাম টানার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
ডিএনসিসি ঢাকা শহরে ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের অধিকার নিয়ে প্রথমবারের মতো গোলটেবিল বৈঠক আহ্বান করেছে। এ বৈঠকে বাড়ি মালিক ও ভাড়াটিয়ারা অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।
সংস্থাটি জানায়, আগামী ২৭ নভেম্বর দুপুর দেড়টায় ঢাকার গুলশান-২ এর ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের হার, বছরে বৃদ্ধির হার নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
সম্প্রতি ‘ঢাকা শহরে ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের অধিকার’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছেন ডিএনসিসি সচিব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান। রোববার (২৩ নভেম্বর) ডিএনসিসির ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে এই বৈঠকের বিষয়টি জানিয়ে একটি পোস্টার আপলোড দেওয়া হয়। এই পোস্টের কমেন্টে রাজিব চৌধুরি নামে একজন লিখেন, বাসা ভাড়া নীতিমালা যদি থাকে বাস্তবায়ন করুন। ভাড়াটিয়াদের বাঁচান। লাগামহীন বাসাভাড়া নগরবাসীর জন্য চাপা কষ্টের চেয়েও ভয়ঙ্কর।
এমএস রাতুল নামে আরেকজন লেখেন, এলাকা ভিত্তিক স্কয়ার ফিট হিসাবে সরকারি ভাবে ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য জোরালো ভাবে অনুরোধ করছি।
পারভেজ আলম লেখেন, আপনাদের প্রোগামে সব পয়সাওয়ালা বাড়িওয়ালা থাকবে কয়জন ভাড়াটিয়া থাকবে সেটা দেখার বিষয়। আইন, নিয়ম, প্রশাসন, জেল, জরিমানা এগুলা সব গরীবদের জন্য।
ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৫ বছরে রাজধানীতে বাসা ভাড়া বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। একই সময়ে নিত্যপণ্যের দাম যতটা বেড়েছে, সেই তুলনায় বাসা ভাড়া বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। সংগঠনটির অন্য এক পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকার ২৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ, ৫৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া প্রায় ৫০ শতাংশ, ১২ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৭৫ শতাংশ ব্যয় করেন বাসা ভাড়া পরিশোধে।
এমএমএ/এসএনআর/জেআইএম
What's Your Reaction?