প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বিমান যোগাযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক ও চিকিৎসা বিনিময় জোরদারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। রোববার রাতে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান। বৈঠককালে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ী মহল নতুন বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। ইমরান হায়দার আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান তিনি। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বিমান যোগাযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক ও চিকিৎসা বিনিময় জোরদারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রোববার রাতে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
বৈঠককালে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ী মহল নতুন বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
ইমরান হায়দার আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান তিনি। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানোটেকনোলজি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিষয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি বলে উল্লেখ করেন হাইকমিশনার।
ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালগুলোতে লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান চিকিৎসা প্রশিক্ষণ ও অঙ্গ প্রতিস্থাপন–সম্পর্কিত একাডেমিক সুযোগ প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, সার্ক সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সফর, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক বিনিময় এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য আরও বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে এবং হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্বকালেই দুই দেশ নতুন বিনিয়োগ ক্ষেত্র ও যৌথ উদ্যোগ (জয়েন্ট ভেঞ্চার) অনুসন্ধান করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
সাক্ষাতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার জানান, ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান যোগাযোগ আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাক্ষাতকালে এসডিজি সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/এমএমকে/এমএস
What's Your Reaction?