প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ থাই রাষ্ট্রদূতের

বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা, সামুদ্রিক যোগাযোগ, অনলাইন প্রতারণা প্রতিরোধ, বহুপাক্ষিক সম্পৃক্ততা এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ সম্প্রসারণের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। প্রধান উপদেষ্টা থাইল্যান্ডের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করে বলেন, রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বকালীন সময়ে দুদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের আসিয়ানে সদস্যপদ অর্জনের উদ্যোগকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে নিচ্ছে। ১১ সদস্যবিশিষ্ট এ আঞ্চলিক জোট বিশ্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ড. ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, এ উদ্যোগে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দে

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ থাই রাষ্ট্রদূতের

বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা, সামুদ্রিক যোগাযোগ, অনলাইন প্রতারণা প্রতিরোধ, বহুপাক্ষিক সম্পৃক্ততা এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ সম্প্রসারণের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।

প্রধান উপদেষ্টা থাইল্যান্ডের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করে বলেন, রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বকালীন সময়ে দুদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদী।

তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের আসিয়ানে সদস্যপদ অর্জনের উদ্যোগকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে নিচ্ছে। ১১ সদস্যবিশিষ্ট এ আঞ্চলিক জোট বিশ্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

ড. ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, এ উদ্যোগে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এটি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে।

থাই রাষ্ট্রদূত জানান, দুই দেশ একটি দ্বিপক্ষীয় মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী। তার মতে, এতে বাংলাদেশে থাই বিনিয়োগ বাড়বে এবং পারস্পরিক বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে।

তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের রানোং বন্দর ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি নৌপরিবহন রুট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের শিপিং কর্তৃপক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শেষে মার্চে এ সেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আরও বেশি ভিসা প্রদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষা ও পর্যটনের উদ্দেশে ক্রমেই বাংলাদেশিদের থাইল্যান্ড ভ্রমণ বাড়ছে।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি-বিষয়ক সমন্বয়ক ও জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।

এমইউ/এমকেআর/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow