নারায়ণগঞ্জে প্রধান শিক্ষক সংকট সৃষ্টি হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে। জেলার ৫৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৭৩টিতে নেই প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও ৮৭টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষক।
শিক্ষক সংকটে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অভিভাবক মহলে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার ১২০টি স্কুলের মধ্যে ৪৯টি, বন্দর উপজেলার ৭৫টির মধ্যে ৪৪টি, সোনারগাঁ উপজেলার ১১৩টির মধ্যে ৬৩টি, আড়াইহাজার উপজেলার ১২৪টির মধ্যে ৯৬টি ও রূপগঞ্জ উপজেলার ১১৫টির মধ্যে ৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে ১১৯টি।
শিক্ষক সংকটে এসব স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রশাসনিক কাজ। শিক্ষকদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে সমন্বয়হীনতা। দ্রুত শিক্ষক সংকট সমাধান না হলে জেলার প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার চরম ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন সমাজ।
সোনারগাঁ উপজেলার ৪৯নং বাড়ীমজলিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফয়েজ আহমদ বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় প্রশাসনিক থেকে শুরু করে একাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। সবকিছুতেই তৈরি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম।
একই উপজেলার ৬৭নং ভবনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেওয়া ও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করা কষ্টকর। এতে কোনো কাজই ঠিকভাবে করা হচ্ছে না।
৬৬নং হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক কাউসার আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। তবে প্রশাসনিক কোনো ক্ষমতা নেই। ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ থাকায় এ সংকট তৈরি হয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবগত করেছি। খুব দ্রুত এসব শূন্য পদ পূরণের দাবি জানানো হয়েছে।