ড. ইউনূস ব্যর্থ হয়েছেন মন্তব্য করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, ইউনূস সাহেব ৬-৭ মাসেও কোনো সংস্কার করতে পারেননি। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন; কিন্তু জিনিসের দাম কমেনি। আপনারা সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেননি, দুর্নীতি বন্ধ করতে পারেননি। এখনো চুরি-ডাকাতি, খুন, গুম ও ধর্ষণ হচ্ছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ীর আজাদি ময়দানে জেলা বিএনপির আয়োজনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলার দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় শামা ওবায়েদ বলেন, এই সরকারে স্থানীয় নির্বাচন করার কোনো ম্যান্ডেট নেই। বিএনপিই আগে সংস্কারের কথা বলেছে। আড়াই বছর আগে ২৭ দফা দিয়েছিলেন তারেক রহমান। শেখ হাসিনা সেটা প্রচার করতে দেননি। আজ আবার ৩১ দফা দিয়েছে সেই বিএনপি। তাই বিএনপিই সংস্কার করবে। আপনারা শিগগিরই নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবেন।
এ সময় কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সিনিয়র সহসভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, প্রতিদিনই দেশে চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ চলছে। অবিলম্বে এগুলো বন্ধ করতে হবে। পলাতক শেখ হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। অবিলম্বে তার দুর্নীতিবাজ পরিবার ও লুটের বাহিনীকে গ্রেপ্তারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। এ আন্দোলনের মহানায়ক ছিলেন তারেক রহমান। দেশে সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে। তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। তারেক রহমানের একটাই বার্তা, জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও অ্যাডভোকেট কামরুল আলমসহ অন্যরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকমল হোসেন ও রেজাউল করিম পিন্টু।
এ সময় বক্তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সমালোচনা করেন। সংস্কারের নামে তামাশা না করে অতি দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিও জানান।