চলমান বর্ষা মৌসুমে হিমাচল প্রদেশে ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি, ভূমিধস ও হঠাৎ নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জনজীবন বিপর্যস্ত। রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (এসডিএমএ) হিসেবে, চলতি বর্ষা মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫৮ জন মারা গেছেন ভূমিধস, পাহাড়ি ঢল, ক্লাউডবার্স্ট, বজ্রপাত ও ডুবে যাওয়ার মতো ঘটনায় এবং সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫২ জন।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির খবর এসেছে কাংড়া (৩০) থেকে। এরপর মান্ডি (২৯), চাম্বা (১৪), কিন্নৌর (১৪) ও কুল্লু (১৩) জেলা থেকে। সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে চাম্বা, মান্ডি, কাংড়া, সোলান ও শিমলা জেলায়।
বিপর্যয়ে রাজ্যের অবকাঠামোর ক্ষতিও হয়েছে বিপুল। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে সড়কপথে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১.৩১ হাজার কোটি টাকা। পানি সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থার ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ৮৭২ কোটি টাকার বেশি আর বিদ্যুৎ খাতে ক্ষতি হয়েছে ১৩৯ কোটি টাকারও বেশি।
ভারতের পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ এবারের বর্ষায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। প্রবল বৃষ্টি, ভূমিধস ও হঠাৎ নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জনজীবন বিপর্যস্ত। রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (এসডিএমএ) হিসাবে, চলতি বর্ষা মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে ভূমিধস, পাহাড়ি ঢল, ক্লাউডবার্স্ট, বজ্রপাত ও ডুবে যাওয়ার মতো ঘটনায় ১৫৮ জন মারা গেছেন এবং সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫২ জন।
আরও পড়ুন : নারীর তুলনায় ক্যানসারে পুরুষের মৃত্যুঝুঁকি বেশি, নেপথ্যে কারণ কী?
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির খবর এসেছে কাংড়া (৩০) থেকে। এরপর মান্ডি (২৯), চাম্বা (১৪), কিন্নৌর (১৪) ও কুল্লু (১৩) জেলা থেকে। সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে চাম্বা, মান্ডি, কাংড়া, সোলান ও শিমলা জেলায়।
বিপর্যয়ে রাজ্যের অবকাঠামোর ক্ষতিও বিপুল। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে সড়কপথে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১.৩১ হাজার কোটি টাকা। জল সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থার ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ৮৭২ কোটি টাকার বেশি আর বিদ্যুৎ খাতে ক্ষতি হয়েছে ১৩৯ কোটি টাকারও বেশি।
ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতিও কম নয়। এখন পর্যন্ত ৩২৪টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে, প্রায় ৪০০ বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজারো দোকানপাট, গোয়ালঘর ও ছোট ব্যবসা নষ্ট হয়েছে। মারা গেছে প্রায় ১ হাজার ৮০০ গবাদি পশু ও ২৫ হাজারের বেশি হাঁস-মুরগি।
এ বিপর্যয়ে রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। ৩টি জাতীয় সড়কসহ অন্তত ৬৭০টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। অচল হয়ে পড়েছে ১ হাজার ৪১৩টি ট্রান্সফরমার ও ৪২০টি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প। বিশেষ করে মান্ডি, কুল্লু, কাংড়া ও শিমলার বহু এলাকায় রাস্তা ধসে পড়ায় এসব এলাকার মানুষ কার্যত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। তবে, প্রবল বৃষ্টিপাত এবং বারবার ভূমিধসের ফলে প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। এসডিএমএ জনসাধারণকে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে এবং স্থানীয় প্রশাসনের জারি করা নিরাপত্তা পরামর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।