জনপ্রশাসনের সংস্কার কমিশনের ‘সাধারণ’, ‘অনুষ্ঠান’, ও ‘বার্তা’কে একীভূত করে তথ্য সার্ভিস গঠনের সুপারিশের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তিনটি গ্রুপের কর্মপ্রকৃতি এতটাই ভিন্ন যে এগুলোকে কোনো একক সার্ভিসে একীভূত করা হলে তা একটি অকার্যকর সার্ভিসে পরিণত হতে পারে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ভিন্ন প্রকৃতির তিনটি গ্রুপ ‘সাধারণ’, ‘অনুষ্ঠান’ ও ‘বার্তা’-কে একীভূত করে বাংলাদেশ তথ্য সার্ভিস নামে যে সার্ভিস গঠনের কথা বলা হয়েছে তাতে এ ক্যাডারের সদস্যদের উদ্বেগের কারণ রয়েছে। গ্রুপ তিনটির কর্মপ্রকৃতি এতটাই ভিন্ন যে এগুলোকে কোনো একক সার্ভিসে একীভূত করা হলে তা একটি অকার্যকর সার্ভিসে পরিণত হতে পারে।
তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের কাজ প্রচার, বাংলাদেশ বেতারের কাজ সম্প্রচার। তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের কাজ গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা, জনসংযোগ ও গণযোগাযোগ। বাংলাদেশ বেতারের কাজ সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচার। বেতার একটি মিডিয়া হাউজ হিসেবে এ নির্দিষ্ট কাজটিই করবে, গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা বা জনসংযোগ তাদের কাজ নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
এতে আরও বলা হয়, সম্প্রচার ব্যবস্থাপনা নির্দিষ্ট কর্মী-গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত হয়। এ কাজের জন্য বিশেষ ধরনের কারিগরি ব্যবস্থা অপরিহার্য। এজন্য বেতারের ‘অনুষ্ঠান’ ও ‘বার্তা’ অনুবিভাগ প্রফেশনাল ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ বেতারের ‘অনুষ্ঠান’ ও ‘বার্তা’ গ্রুপকে সাধারণ ক্যাটাগরির ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু তাদের কাজের প্রকৃতি ও বিষয় থেকে যায় আগের মতোই। এভাবে কাজ ও জনবলের মধ্যে ধরনগত ভিন্নতা সৃষ্টি হয়।
‘২০২১ সালের ১৫ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় করা হয়। এর আগে কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তারা স্বতন্ত্র সম্প্রচার ক্যাডার গঠনের উদ্যোগ নেন এবং সে উদ্যোগের ফলেই প্রাথমিক কাজ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তিত হয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের সঙ্গে বাংলাদেশ বেতারের কোনো অংশকে একীভূত করা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কাজের মান বৃদ্ধি, কর্মকর্তাদের কল্যাণ কিংবা জনস্বার্থ কোনোটির জন্যই যৌক্তিক বলে প্রতীয়মান হয় না। বিদ্যমান বাস্তবতায়, কেবল বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) গ্রুপকে নিয়ে বাংলাদেশ তথ্য সার্ভিস করা যায়। পাশাপাশি প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের নামের সঙ্গে সংগতি রেখে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য একটি স্বতন্ত্র ‘সম্প্রচার সার্ভিস’ গঠন করা যেতে পারে।
আরএমএম/এমএএইচ/জেআইএম