কোরবানির ঈদ সামনে সাভারের ট্যানারিগুলোতে চলছে প্রস্তুতি। লবণের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং ঈদের সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন ট্যানারি মালিকেরা। এবছর কোরবানির ঈদে এক কোটি ৫ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের আশা করছেন তারা। এই বিপুল পরিমাণ চামড়া সংগ্রহ ও মজুতে ট্যানারিগুলোতে চলছে জোর প্রস্তুতি।
শনিবার (৩১ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য ট্যানারিগুলোতে লবণসহ সব ধরনের কেমিক্যাল মজুত করা হয়েছে। কারখানায় বাড়তি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেছেন মালিকেরা। নতুন চামড়া রাখার জন্য ট্যানারিগুলোর প্রতিটি ফ্লোরই খালি করে রাখা হয়েছে। পরিষ্কার করা হয়েছে চারপাশ।

চামড়া সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল লবণ। তবে গত এক মাসে লবণের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা। লবণের এই অস্বাভাবিক দাম বাড়া নিয়ন্ত্রণ ও কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি ট্যানারি মালিকদের।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘এবছর কোরবানির ঈদে এক কোটি ৫ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের আশা করছেন ট্যানারি মালিকেরা। তবে সরকারের ওয়েট ব্লু রপ্তানির সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে হতাশ। কেননা এটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবনা উচিত সরকারের।’

পশুর শরীর থেকে প্রথমে চামড়া ও পরে পশম ছাড়িয়ে প্রক্রিয়াজাত করার পর যে চামড়া পাওয়া যায় তাকেই ওয়েট ব্লু চামড়া বলা হয়।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়ে মেসার্স আইয়ুব ব্রাদার্স ট্যানার্সের মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই শিল্পে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের দরকার হয় আমাদের। কিছু সময়ের জন্যও যদি লোডশেডিং হয়, তাহলে তা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ।’

এদিকে, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) বলছে, কোরবানির ঈদে চামড়া সংগ্রহে সহায়তা করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন থেকে চামড়া শিল্প নগরীতে কাজ করবেন ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক।

সাভার বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান রিজোয়ান বলেন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ এ বিষয়ে আমাদের সার্বিক সহায়তা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। একইসঙ্গে চামড়া শিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারেও বাড়তি চাপ সামলাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মাহফুজুর রহমান নিপু/এসআর/এএসএম

4 months ago
15









English (US) ·