পাবনার চাটমোহরে প্রাণ ডেইরি মাদার সেন্টারের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলামের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গুনাইগাছা সেন্টারের পাশে চাটমোহর-বাঘাবাড়ি মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। সম্প্রতি চারজন ভেজাল দুধ সরবরাহকারীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়। এর জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করছেন প্রাণ ডেইরির আঞ্চলিক কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগী ও অন্যান্য সূত্র বলছে, আহত ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম গত এক বছর ধরে চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছার প্রাণ ডেইরি মাদার সেন্টারের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সেন্টার থেকে এক কিলোমিটার দূরে নতুন পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। প্রতিদিনের মতো কাজ শেষ করে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন সিরাজুল। পথে সেন্টারের পাশে চাটমোহর-বাঘাবাড়ি মহাসড়কে উঠতেই হেলমেট পরিহিত এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে সামনে এসে সিরাজুলের গতিরোধ করে।
এরপর আরও ৩ জন এসে লোহার রড দিয়ে সিরাজুলকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তার মাথায় তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে উঠতেই একজন হেলমেট পরে মোটরসাইকেল নিয়ে আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। আমি স্লো হতেই তিন দিক থেকে আরও তিনজন এসে লোহার রড দিয়ে মারতে শুরু করে। কোনোরকমে একজনকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে সেন্টারে যাই। পরে আমার অফিসের লোকজন আমাকে হাসপাতালে নেন।
তিনি বলেন, এটা পরিকল্পিত ঘটনা। তারা রাস্তার পাশেই ওৎ পেতে ছিল। আমি যেতেই আক্রমণ করে। কেউ কোনো গালিগালাজ করেনি বা কথা বলেনি। একজন হেলমেট পরিহিত ছিল। বাকিরা মাস্ক পরিহিত। ফলে কাউকেই চিনতে পারিনি। এই এলাকায় আমার কারো সঙ্গে কোনো ধরনের ব্যক্তিগত খারাপ সম্পর্ক নেই। এক্ষেত্রে নিশ্চিত করে না বলতে পারলেও যাদের কোড (দুধ সরবরাহকারী) বাতিল হয়েছে তাদের কেউ এটি ঘটিয়ে থাকতে পারে।
চাটমোহর গুনাইগাছা প্রাণ ডেইরি মাদার সেন্টারের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শরীফ উদ্দিন তরফদার বলেন, আসলে কী কারণে আমাদের কর্মকর্তার ওপর হামলা হলো সেটি আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তবে সম্প্রতি দুধে ভেজাল পাওয়ার কারণে আমরা বেশকিছু কোড (দুধ সরবরাহকারী) বাতিল করেছি। গতকালও একজনকে রিজেক্ট করা হয়েছ। এসবের জেরে এই ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলে সন্দেহ করছি। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, ওই সেন্টারের পক্ষ থেকে কয়েকজন থানায় এসেছিলেন। তারা কী ধরনের অভিযোগ দেবেন সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত জানাননি। মামলা করতে চাইলে মামলা হবে।
আলমগীর হোসাইন নাবিল/এফএ/এমএস