মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খায়রুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রায়ই দেখা যায়, সাঁতার না জানার কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। যোগদানের পর থেকেই এমন বহু শিশুর মৃত্যুর খবর শুনেছি। আমরা শিক্ষকদের জানিয়েছি, যেসব শিক্ষার্থী সাঁতার জানে না, তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে, যাতে কোনো মা যেন আর সন্তান হারানোর কষ্ট না পান।’
বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নবনির্মিত সুইমিংপুল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আবেগঘন কণ্ঠে এসব কথা বলেন তিনি।
সাঁতার না জানার কারণে শিশুদের মৃত্যু রোধে এদিন মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার প্রথম সরকারি সুইমিংপুল চালু হয়। যা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালাম।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মেহেরপুরে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একজন-দুথজন শিশু নদী বা পুকুরে ডুবে মারা যাচ্ছে। তাদের সাঁতার জানা নেই বলেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রতিটি উপজেলায় ধাপে ধাপে সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রকল্প চালু করা হবে। মেহেরপুর সদর থেকে সেই উদ্যোগের সূচনা হলো।’
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়াকওয়েসংবলিত ৫০ ফুট বাই ৩২ ফুটের সুইমিংপুলটি নির্মাণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে তালিকা জমা দিয়ে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, বিআরডিবি কর্মকর্তা রকিবুল ইসলামসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
সরকারি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, বিদ্যালয়ভিত্তিক সাঁতার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা গেলে ভবিষ্যতে মেহেরপুরে পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।

3 hours ago
6








English (US) ·