প্রার্থিতা দেওয়ার ক্ষমতা ও ভোট বাতিলের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দেওয়ার সুপারিশ করেছে নির্বাচন-ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেওয়া ১৮৪ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রস্তাবনায় এমন সুপারিশ করেছে কমিশন।
সুপারিশগুলো হলো:
১. কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে প্রদান
করা।
২. শুধু নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত ও বেআইনি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আদালতের হস্তক্ষেপের এখতিয়ার রাখা।
৩). গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে কমিশনের পরিপূর্ণ এখতিয়ার প্রতিষ্ঠা করা। নির্বাচন কমিশনের সচিব নিয়োগের দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা ।
৪) নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী ফলাফল বাতিলের এবং পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে। বিগত আউয়াল কমিশন এ অস্পষ্টতা সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। আউয়াল কমিশন আরপিও-এর ৯০ ধারাতে ‘নির্বাচনের’ জায়গায় ‘ভোট’ শব্দটি প্রতিস্থাপন করে এ অস্পষ্টতা সৃষ্টি করেছে। আমাদের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নূর হোসেন বনাম নজরুল ইসলাম মামলায় বিচারপতি কাজী এবাদুল হক সুস্পষ্ট রায় দিয়েছেন যে, নির্বাচন চলাকালীন অনিয়মের অভিযোগ উঠলে কমিশন তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচনী ফলাফল বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিতে পারবে।
৫) আরপিও’র ৯১(ক) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে নির্বাচনকালীন অনিয়মের অভিযোগের ক্ষেত্রে নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত রেখে অভিযোগের তদন্ত, তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচন বাতিল এবং পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া।
৬) আরপিও’র ৯১ ধারায় ‘ভোট’ শব্দের জায়গায় ‘নির্বাচন’ শব্দটি আবার প্রতিস্থাপন করা।
কমিশনের সুপারিশ দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
এমওএস/এমএএইচ/