প্রিয় মানুষের অভিমান ভেঙে ফেলুন সহজ কিছু উপায়ে

সব সম্পর্কেই একটু রাগ বা মান-অভিমান থাকেই। কাছের মানুষের সঙ্গেই তো সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা। আর সেই ভালোবাসার জায়গা থেকেই মাঝেমধ্যে একটু কথাকাটাকাটি বা মনোমালিন্য হয়ে যায়। কখনো না বুঝে, কখনো আবেগের বশে এমন কিছু বলেই ফেলি বা করি, যেটা অন্যজনকে কষ্ট দেয়। তখনই শুরু হয় অভিমান। কিন্তু প্রিয় মানুষটা যদি চুপচাপ হয়ে যায়, কথা বলা বন্ধ করে দেয়—তাহলে কি আপনি চুপ করে বসে থাকবেন? না, বরং কিছু ছোট্ট চেষ্টা করলেই ফেরানো যায় সেই মিষ্টি হাসিটা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে সহজেই ভাঙানো যায় প্রিয়জনের অভিমান। আগে বুঝে নিন সে কেন কষ্ট পেয়েছে সবার আগে দরকার বোঝার—সে ঠিক কোন কথায় বা কোন আচরণে কষ্ট পেয়েছে। অনেক সময় আমরা বুঝতেই পারি না আর সেখানেই সমস্যা বাড়ে। তার অনুভূতিটা গুরুত্ব দিয়ে শুনুন, বুঝুন। তার অভিমানকে ছোট করে দেখবেন না। আর নিজের দিক থেকেও অভিমান না করে, সম্পর্কটা ঠিক করার চেষ্টা করুন। ‘কে ঠিক আর কে ভুল’ ভাবার আগে ক্ষমা চেয়ে নিন কার দোষ, সেটা পরে দেখা যাবে। আগে একটু ‘সরি’ বলুন। এতে নিজের মান ছোট হয় না বরং সম্পর্কটা বড় হয়ে যায়। আপনি যদি আগ বাড়িয়ে মাফ চেয়ে নেন, তাহলে প্রিয় মানুষটি অনেকটাই নরম হয়ে যাবে

প্রিয় মানুষের অভিমান ভেঙে ফেলুন সহজ কিছু উপায়ে

সব সম্পর্কেই একটু রাগ বা মান-অভিমান থাকেই। কাছের মানুষের সঙ্গেই তো সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা। আর সেই ভালোবাসার জায়গা থেকেই মাঝেমধ্যে একটু কথাকাটাকাটি বা মনোমালিন্য হয়ে যায়। কখনো না বুঝে, কখনো আবেগের বশে এমন কিছু বলেই ফেলি বা করি, যেটা অন্যজনকে কষ্ট দেয়। তখনই শুরু হয় অভিমান।

কিন্তু প্রিয় মানুষটা যদি চুপচাপ হয়ে যায়, কথা বলা বন্ধ করে দেয়—তাহলে কি আপনি চুপ করে বসে থাকবেন? না, বরং কিছু ছোট্ট চেষ্টা করলেই ফেরানো যায় সেই মিষ্টি হাসিটা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে সহজেই ভাঙানো যায় প্রিয়জনের অভিমান।

আগে বুঝে নিন সে কেন কষ্ট পেয়েছে

সবার আগে দরকার বোঝার—সে ঠিক কোন কথায় বা কোন আচরণে কষ্ট পেয়েছে। অনেক সময় আমরা বুঝতেই পারি না আর সেখানেই সমস্যা বাড়ে। তার অনুভূতিটা গুরুত্ব দিয়ে শুনুন, বুঝুন। তার অভিমানকে ছোট করে দেখবেন না। আর নিজের দিক থেকেও অভিমান না করে, সম্পর্কটা ঠিক করার চেষ্টা করুন।

‘কে ঠিক আর কে ভুল’ ভাবার আগে ক্ষমা চেয়ে নিন

কার দোষ, সেটা পরে দেখা যাবে। আগে একটু ‘সরি’ বলুন। এতে নিজের মান ছোট হয় না বরং সম্পর্কটা বড় হয়ে যায়। আপনি যদি আগ বাড়িয়ে মাফ চেয়ে নেন, তাহলে প্রিয় মানুষটি অনেকটাই নরম হয়ে যাবেন। তারপর সময়মতো শান্তভাবে সব ব্যাখ্যা করে নিন।

তার পছন্দের কিছু উপহার দিন

ছোট একটা চকলেট, পছন্দের ফুল বা এক জোড়া কানের দুল—এই ছোট্ট জিনিসগুলোও অনেক ম্যাজিক করতে পারে। সে যদি বুঝতে পারে, আপনি তার জন্য ভাবছেন, তাহলে অভিমান সহজেই গলে যাবে।

তার প্রিয় খাবার রান্না করে ফেলুন

আপনি যদি খুব একটা রাঁধতে না-ও পারেন, তাও একটা চেষ্টা করুন। সেটা শুধু খাবার নয়, একটা ভালোবাসার প্রকাশ। আপনি যত্ন নিয়ে কিছু বানানোর চেষ্টা করেছেন, এটুকুই যথেষ্ট তার মুখে হাসি ফিরিয়ে আনতে।

এমন কিছু করুন যাতে তার মুখে হাসি ফুটে

মনে করুন তো, আপনি কী করলে সে খুব খুশি হয়? হয়তো সেটা একটা মজার কথা, একটা আলিঙ্গন, বা চুপচাপ কপালে একটা চুমু। সেই কাজটাই আবার করুন। যে কাজ বা কথায় সে আগে হেসেছিল, সেগুলো আবার মনে করিয়ে দিন। দেখবেন, তার মন গলে যাবে।

ভালোবাসার মানুষ রাগ করলে বা অভিমান করলে সেটা খারাপ নয়—বরং এটা প্রমাণ করে, সে আপনাকে নিয়ে ভাবেন, গুরুত্ব দেন। তাই সেই সম্পর্কটাকে যত্ন করে আগলে রাখুন। মন খারাপ হলে পাশে থাকুন, ভুল হলে স্বীকার করুন আর ভালোবাসা দিয়ে মন জয় করে নিন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow