ঢালাওভাবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ডিআরইউ নেতারা বলেন, তিন দফায় মোট ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি)। এ তালিকায় অনেক পেশাদার সাংবাদিকের নাম রয়েছে, যারা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী সদস্য।
তারা আরও বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও অপরাধের প্রমাণের ভিত্তিতে যে কারো অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল বা রিভিউ করতে পারে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও অপরাধের প্রমাণ ছাড়া ঢালাওভাবে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার অন্তরায়।
এ ধরনের ঢালাও পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিতের দাবি জানান ডিআরইউ নেতারা।
এ ছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয়, অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) ব্যুরো চিফসহ সম্প্রতি বাংলাদেশে ১৮৪ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে? সম্প্রতি সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
জবাবে দপ্তরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, বিষয়টি আমি এখনো দেখিনি। যদি এমনটি হয় তবে তা দুঃখজনক। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো বাংলাদেশসহ যে কোনো দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অত্যাবশ্যক। প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সাংবাদিকদের অধিকার এবং স্বাধীনতা যথাযথভাবে সম্মান করার বিষয়টি উৎসাহিত করব এবং এটি নিশ্চিত করতে চাই।