প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পরই গুজব ছড়ালেন ট্রাম্প
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পরই গুজব ছড়ালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নবনির্বাচিতের ভাষণে এ ধরনের কাণ্ডে তোলপাড় আমেরিকা। কিন্তু আগের মতোই এসব গায়ে মাখছেন না তিনি।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণ করেছেন। এরপর দেওয়া প্রথম ভাষণেই তিনি পানামা খাল দখলে নেওয়ার হুমকি দেন। এর সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে গিয়ে একটি মিথ্যা অভিযোগ তোলেন। খবর ইউএসএ টুডে ও রয়টার্সের।
ট্রাম্প বলেন, এই বোকা-মার্কা উপহারের মাধ্যমে আমাদের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে, যা কখনও দেওয়া উচিত হয়নি। আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হয়েছে। আমাদের চুক্তির উদ্দেশ্য এবং আমাদের চুক্তির চেতনা সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চীন পানামা খাল পরিচালনা করছে। আমরা এটি চীনকে দেইনি। আমরা এটি পানামাকে দিয়েছি এবং আমরা ফিরিয়ে নেব।
গত বছরের ডিসেম্বরেও এ অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। উদ্বোধনী ভাষণে সেটিরই পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, চীন পানামা খাল পরিচালনা করছে বলে ট্রাম্প যে দাবি তুলছেন তা পানামা নিয়ে বারবার বিতর্ক সৃষ্টি করছে। মূলত, এ বিতর্ক সৃষ্টির জন্যই ট্রাম্প গুজব ছড়াচ্ছেন।
অথচ পানামা সরকার ‘পানামা খাল কর্তৃপক্ষের’ মাধ্যমে খালটি নিয়ন্ত্রণ করে, যা ১১ সদস্যের একটি বোর্ড নিয়ে গঠিত। তারা জলপথের রক্ষণাবেক্ষণ এবং সুরক্ষা তত্ত্বাবধান করে।
অবশ্য, হংকংভিত্তিক করপোরেশন সিকে হাচিসন হোল্ডিংস ১৯৯৭ সাল থেকে ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরের প্রবেশমুখে থাকা খালের দুটি বন্দর পরিচালনা করছে। এ কোম্পানি পানামা সরকারের সিদ্ধান্তেই কাজ করে। এখানে চীনের কোনো স্বায়ত্তশাসন নেই।
প্রসঙ্গত, খালটি ১৯০৪ থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে নির্মিত হয়, বেশিরভাগ অংশই করে যুক্তরাষ্ট্র। তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট নির্মাণ কাজের তদারকি করেন। পরে ১৯৭৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার স্বাক্ষরিত এক চুক্তির আওতায় ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র খালটির মালিকানা পানামার কাছে হস্তান্তর করে।