ফজলুর রহমানের বক্তব্যের কারণে দল বিব্রত : প্রিন্স
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ফজলুর রহমানের বক্তব্যের কারণে দল বিব্রত, তাই সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। যে যত বড় নেতাই হোক, দলের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত বক্তব্য বা অবস্থান এই দায়ভার দল মেনে নেবে না।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের প্রথম জাতীয় প্রতিনিধি সমাবেশ সফল করতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, উনি একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, ত্যাগী ও সংগ্রামী মানুষ, তাকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তিনি যেটা বলছেন সেটা তার ব্যক্তিগত মত। দল করতে গেলে সব ব্যক্তিগত বক্তব্য প্রকাশ্যে আনা যায় না।
তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের সংগঠনের আনুষ্ঠানিক পথচলা ২০০৭ সাল থেকে, যা ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর স্বীকৃতি লাভ এবং অনুমোদিত হয়। তখন থেকেই দলের মানববন্ধন, পদযাত্রা, সংগ্রাম আন্দোলনসহ দল ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে আমাদের নেতাকর্মীরা সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এবং সরকারে যুক্ত দোসরদের দ্বারা আমাদের অনেক নেতাকর্মী মামলা-হামলা এবং কারাবরণের শিকার হন। জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী নেতাকর্মীরা দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের দ্বারা নির্দেশিত, নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বর্তমান চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার সুযোগ্য সন্তান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের রাজনৈতিক রোল মডেল। তারেক রহমান প্রণীত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফার সঙ্গে আমরা নিবিড় ও গভীরভাবে আবদ্ধ। ওই ঐতিহাসিক দলিলের দ্বিতীয় নম্বরে বর্ণিত ‘রেইনবো ন্যাশনসের’ আমরা সমতল অঞ্চলের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী ধারণাপত্রের এক একটি রং। দলিলের ১৬ নম্বরে বিশেষভাবে আমাদের মতো অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর অধিকার এবং সুরক্ষার কথা দলীয়ভাবে স্বীকৃত।
এ সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মৃগেন হাগিদগের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমাজাদ আলী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের ভাইস চেয়ারম্যান সুভাস চন্দ্র বর্মণ, সহসভাপতি ড. অঞ্জন কুমার চিছাম, সুবাস চন্দ্র বর্মন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জন জেত্রা, বিন্যামিন আরেং, আইন বিষয়ক সম্পাদক বিপুল হাজং, বাংলাদেশ জাতীয় হদি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সিংহ, সহজলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক হিমাংশু বর্মণসহ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, আগামী শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ২টায় সমতল অঞ্চলে ১২টি জেলায় বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীর সাংগঠনিক সমাবেশ এবং মতবিনিময় হবে টাউন হল অডিটোরিয়ামে। সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালে যুক্ত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এবং চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকার।