ফরিদপুরে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, গরু-ছাগল লুট

2 days ago 6

ফরিদপুরে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দলের নেতার বাড়িসহ অন্তত ২০টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের ফুসরা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।

আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে চলা এ সংঘর্ষে একপক্ষের নেতৃত্ব দেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাশেম খান এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্কাস মাতুব্বর।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে হাশেম খান ও আক্কাস মাতুব্বরের লোকদের মধ্যে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে কথা-কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়। এর জেরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সোমবার সকাল ৮টার দিকে হাশেম খানের সমর্থকরা পাশের সালথার গোট্টি ইউনিয়নের ভাবুক থেকে কয়েকশ লোক নিয়ে আক্কাস মাতুব্বরের বাড়িসহ তার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর করে। এ সময় তারা ১০ লক্ষাধিক টাকার গরু-ছাগল লুটপাট করে নিয়ে যান। পরে আক্কাস মাতুব্বরের সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে বিএনপি নেতা হাশেম খাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনায় কমপক্ষে ৮-১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাস মাতুব্বর বলেন, রোববার রাতে পুলিশের মধ্যস্থতায় আমরা সংঘর্ষে জড়াব না বলে কথা দিয়েছিলাম। আমি তা মেনে নিলেও হাসেম খান তা মানেননি। তার সমর্থকরা অতর্কিত আজ সকালে আমার বাড়িসহ আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে দশ লাখ টাকার গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে যায়।

অভিযোগ অস্বীকার করে হাসেম খান বলেন, আক্কাসের সমর্থকরা আমার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান কালবেলাকে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং র‍্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Read Entire Article