ফরিদপুরে কোটা আন্দোলনের দুই সমন্বয়কের জামিন নামঞ্জুর

1 month ago 18

ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক শাহ মো. আরাফাত (২৩) ও জনি বিশ্বাসের (২০) জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে ফরিদপুরের সদর, ভাঙ্গা ও সদরপুর আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা এ আদেশ দেন।

শাহ মো. আরাফাত ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী ও সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুর এলাকার শাহ মো. শের আলমের ছেলে। জনি বিশ্বাস নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের বিলনালিয়া গ্রামের কাদের বিশ্বাসের ছেলে। তারা দুজন ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদরপুর আদালতে সদরপুর থানা-পুলিশের করা মামলায় গ্রেফতার ১০ আসামি রোববার জামিন আবেদন করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌর চন্দ্র সাহা তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। পুলিশ তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত তিনজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদরপুরের পূর্ব শ্যামপুরের বাসিন্দা মাসুদ রানা এবং চরভদ্রাসন উপজেলার ধোপাডাঙ্গী গ্রামের রিশাদ বেগ ও সজীব বেগ। রিশাদ ও সজীব আপন দুই ভাই।

অন্যদিকে ভাঙ্গা থানা-পুলিশের করা মামলায় গ্রেফতার ২১ জন জামিনের আবেদন করলে আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাছিম মাহমুদ তাদেরও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এ ব্যাপারে শাহ মো. আরাফাতের মা ময়না বেগম বলেন, সরকার ছাত্রদের দাবি মেনে নেওয়ার পর আমার ছেলে আর কোনো আন্দোলন করেনি। আমার ছেলে অনার্স (স্নাতক) চতুর্থ বর্ষের লিখিত পরীক্ষা শেষ করেছে। সামনে মৌখিক পরীক্ষা। এ অবস্থায় তাকে আটকে রাখা হলে তার শিক্ষাজীবন ব্যাহত হবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. জসীমউদ্দিন মৃধা জানান, জামিন নামঞ্জুরকারীদের পক্ষে কাল সোমবার আবার স্ব স্ব আদালতে জামিনের আবেদন জানানো হবে।

ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তিনটি মামলায় এজাহারভুক্ত ৬৮ আসামির মধ্যে ২১ জন ছাত্রকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের পাশাপাশি কলেজের শিক্ষার্থীরাও আছেন। এছাড়া প্রতিটি মামলায় অজ্ঞাতনামা আন্দোলনকারীদের আসামি করা হয়েছে।

জেলায় এ পর্যন্ত দায়ের হওয়া চারটি মামলার মধ্যে ফরিদপুরের কোতোয়ালি ও ভাঙ্গা থানায় একটি করে এবং সদরপুর থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। সদরপুরের দুটি মামলার মধ্যে কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের হামলার ঘটনায় করা মামলায় সাতজনকে আসামি করা হলেও কোনো ছাত্রকে আসামি করা হয়নি। বাকি তিন থানায় করা মামলায় ছাত্রদের আসামি করা হয়েছে। তিনটি মামলার মধ্যে ভাঙ্গায় ২৫০ থেকে ৩০০ এবং অন্য দুটি মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে উল্লেখ করা হয়েছে।

এন কে বি নয়ন/এফএ/জেআইএম

Read Entire Article