ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রেনের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) উপজেলার পুখুরিয়া রেল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
ট্রেনের যাত্রী ও স্টেশন সূত্র জানায়, রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা নকশীকাঁথা ট্রেনে ঢাকায় যাচ্ছিলেন এক নারী। ফরিদপুর রেলস্টেশন থেকে জাকির মোল্লা নামের এক শিক্ষক ও তার স্ত্রী ওঠেন। জাকির মোল্লা ট্রেনের সিট না পেয়ে ওই নারীকে একটু চেপে বসে স্ত্রীকে বসতে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই নারীর সঙ্গে শিক্ষক জাকির মোল্লার বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সেটি এক পর্যায়ে মারামারিতে ঠেকে। পরে জাকির মোল্লা বহিরাগতদের ফোন করে ডেকে হামলা করে। এতে দুই নারীসহ অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল মিয়া বলেন, ট্রেনে চেপে না বসায় জাকির মোল্লা ওই নারীকে মারধর শুরু করেন। আমরা বলেছি অনুরোধ না রাখলে আপনি তাকে মারতে পারেন না। এক পর্যায়ে আমাদের ওপর চড়াও হন তিনি। পরে তিনি ফোন করে বিল্লাল ও রানাসহ তার আত্মীয়-স্বজনকে ভাঙ্গার পুখুরিয়া রেল স্টেশনে জড়ো করে হামলা চালান।
এ ব্যাপারে জাকির মোল্লা বলেন, ওই নারীকে চেপে বসে আমার স্ত্রীকে বসতে দিতে অনুরোধ করি। এ সময় আমাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়েছে। তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তাই আত্মীয়-স্বজনরা শুনে হামলা করেছে।
তিনি দম্ভোক্তি করে বলেন, পুখুরিয়ায় আমার বহু আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন। তারা এলাকার লাঠিয়াল বাহিনী। আমার সঙ্গে কেউ খারাপ আচরণ করলে তাদের এ পরিণতি হয়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা রেলস্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ রনি ব্যাপারী বলেন, শুনেছি ভাঙ্গা উপজেলার পুখুরিয়া রেলস্টেশনে একটা মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি।
এন কে বি নয়ন/আরএইচ/জেআইএম