ফরিদপুরে তালিকা ও উদ্বোধনের আগেই খাদ্য গুদামে ধান মজুদের অভিযোগ
ফরিদপুরের নগরকান্দায় সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে খাদ্য গুদামে ধান মজুদের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশিকুর রহমান মোল্যার বিরুদ্ধে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রদত্ত নির্বাচিত কৃষকের তালিকা প্রকাশ ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ছাড়াই তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিপুল পরিমাণ ধান মজুদ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে নসিমন-করিমনে বোঝাই ধান উপজেলা খাদ্যগুদামে প্রবেশ করে। গাড়ি ঢোকার পরপরই প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দ্রুততার সঙ্গে ধান নামানোর দৃশ্য দেখা যায়। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও কয়েকটি ধানবোঝাই গাড়ি ফিরে যায়। স্থানীয় কৃষক ও পরিবহন শ্রমিকরা জানান, এ ধরনের অনিয়ম নতুন নয়-রাতের আঁধারে দালালদের মাধ্যমে ধান মজুদ করা হয়, এতে প্রকৃত কৃষকরা সরকারি মূল্য থেকে বঞ্চিত হন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আশিকুর রহমান মোল্লা জানান, একজন পরিচিত কৃষকের ২ টন ধান ছিল, তিনি নিতে বলেছেন, তাই নিয়েছি। তালিকা প্রকাশের আগেই ওই কৃষকের নাম নির্বাচিত তালিকায় কীভাবে নিশ্চিত হলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তালিকায় না থাকলে ধান ফেরত দেব। তবে তালিকা ও উদ্বোধন
ফরিদপুরের নগরকান্দায় সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে খাদ্য গুদামে ধান মজুদের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশিকুর রহমান মোল্যার বিরুদ্ধে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রদত্ত নির্বাচিত কৃষকের তালিকা প্রকাশ ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ছাড়াই তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিপুল পরিমাণ ধান মজুদ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে নসিমন-করিমনে বোঝাই ধান উপজেলা খাদ্যগুদামে প্রবেশ করে। গাড়ি ঢোকার পরপরই প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দ্রুততার সঙ্গে ধান নামানোর দৃশ্য দেখা যায়। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও কয়েকটি ধানবোঝাই গাড়ি ফিরে যায়।
স্থানীয় কৃষক ও পরিবহন শ্রমিকরা জানান, এ ধরনের অনিয়ম নতুন নয়-রাতের আঁধারে দালালদের মাধ্যমে ধান মজুদ করা হয়, এতে প্রকৃত কৃষকরা সরকারি মূল্য থেকে বঞ্চিত হন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আশিকুর রহমান মোল্লা জানান, একজন পরিচিত কৃষকের ২ টন ধান ছিল, তিনি নিতে বলেছেন, তাই নিয়েছি। তালিকা প্রকাশের আগেই ওই কৃষকের নাম নির্বাচিত তালিকায় কীভাবে নিশ্চিত হলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তালিকায় না থাকলে ধান ফেরত দেব। তবে তালিকা ও উদ্বোধনের আগেই ব্যক্তিগত ধান গুদামে মজুদের বৈধতা বিষয়ে তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারেননি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা নিয়াজ মাহমুদ বলেন, আমন ধান সংগ্রহ এখনো উদ্বোধন হয়নি। কৃষকের তালিকাও পাওয়া যায়নি। তালিকা পাওয়ার পরই সংগ্রহ শুরু হবে। তালিকার আগেই ধান মজুদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যদি করে থাকেন, এটি বেআইনি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবির উদ্দিন বলেন, এখনো তালিকা প্রস্তুত হয়নি, তাই সরকারি ধান সংগ্রহ শুরু হয়নি। ব্যক্তিগত ধান সরকারি গুদামে মজুদের নিয়ম নেই। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা খাদ্য পরিদর্শকই দেবেন।
এন কে বি নয়ন/কেএইচকে/জেআইএম
What's Your Reaction?