ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

4 months ago 72

ফরিদপুরের বোয়ালামারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ইছাডাঙ্গা গ্রামের ১১ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রাসেল সিকদার (২৩) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর ২টায় ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত রাসেল সিকদার বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ইছাডাঙ্গা গ্রামের মনোয়ার সিকদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শিশুটি আসামি রাসেল সিকদারের পূর্ব পরিচিত। শিশুটি ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। শিশুটির মায়ের বাড়ির পাশে রাস্তায় মুদি দোকান রয়েছে। দোকানে রাসেলের কিছু টাকা বাকি ছিল। ঘটনার দিন ২০২২ সালের ২২ আগষ্ট সন্ধ্যার দিকে রাসেল শিশুটিকে বাড়ি থেকে পাওনা দেড়শো টাকা নিয়ে আসতে বলে। রাসেল তখন বাড়িতে একাই ছিল। শিশুটি রাসেলের বাড়িতে টাকা আনতে গেলে রাসেল পাশের গোসল খানায় শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের কথা জানাজানির ভয়ে শিশুটিকে হাত পা বেঁধে, গলায় ওড়না পেচিঁয়ে হত্যা করে।

পরে শিশুটির পরিবার শিশুটিকে খোঁজাখুজি ও মসজিদে মাইকিং করতে থাকে এবং ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাসেল তখন পালানোর চেষ্টা করলে তাকে কৌশলে আটক করা হয়। পরে রাসেলের দেখানো মতে গোসল খানার ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্বার করে পুলিশ। রাসেলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে রাসেল নিজেই হত্যার বর্ননা দিয়ে জবানবন্দি দেয়।

এ ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা মো. মোক্তার হোসেন পরের দিন বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন। বোয়ালমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আজাদ হোসেন ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে আদালত রাসেলকে অভিযুক্ত ঘোষণা করে এ রায় ঘোষণা করেন।

এ ষিয়ে নিহতরে বাবা মোক্তার হোসেন বলেন, আমরা এলাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা এ রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমরা সন্তষ্ট হবো না।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্বপন পাল জাগো নিউজকে বলেন, এ রায়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। এ রায়ের ফলে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।

এন কে বি নয়ন/এনআইবি/এমএস

Read Entire Article