ফরিদপুরে সাড়ে ৬ হাজার কেজি ভেজাল গুড় ধ্বংস, কারখানা সিলগালা

ফরিদপুরে একটি কারখানার সাড়ে ৬ হাজার কেজি ভেজাল গুড় এবং কেমিক্যাল জব্দ করে তা ধ্বংস করেছে প্রশাসন ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কারখানাটি সিলগালাও করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ফরিদপুর সদরের শিবরামপুরের ছোট বটতলা এলাকায় স্বপন কুমার শীল নামের এক ব্যক্তির ভেজাল গুড়ের কারখানায় যৌথ অভিযান চালায় প্রশাসন ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুর রহমান। এতে ফরিদপুরের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ মো. আজমুল ফুয়াদ, ফরিদপুরের ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক এবং বাংলাদেশ আনসারের একটি চৌকস দল অভিযানে সহযোগিতা করেন। জানা গেছে, কারখানাটি অত্যন্ত নোংরা, স্যাঁতস্যাঁতে, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন। এছাড়া নির্ধারিত স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সংরক্ষণ না করেই ভারত থেকে আমদানিকৃত নিম্নমানের টিনজাত চিটাগুড় (যা গো-খাদ্যে ব্যবহৃত হয়) এর সঙ্গে নিষিদ্ধ হাইড্রোজ, ফিটকিরি, ননফুড গ্রেড ক্ষতিকর রঙ ও ফ্লেভার, পচা মিষ্টি, মিষ্টির নষ্ট গাদ, ময়দা, সোডা, চিনি ব্যবহার করে খেজুর ও আখের গুড় তৈরি কর

ফরিদপুরে সাড়ে ৬ হাজার কেজি ভেজাল গুড় ধ্বংস, কারখানা সিলগালা

ফরিদপুরে একটি কারখানার সাড়ে ৬ হাজার কেজি ভেজাল গুড় এবং কেমিক্যাল জব্দ করে তা ধ্বংস করেছে প্রশাসন ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কারখানাটি সিলগালাও করে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ফরিদপুর সদরের শিবরামপুরের ছোট বটতলা এলাকায় স্বপন কুমার শীল নামের এক ব্যক্তির ভেজাল গুড়ের কারখানায় যৌথ অভিযান চালায় প্রশাসন ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুর রহমান।

এতে ফরিদপুরের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ মো. আজমুল ফুয়াদ, ফরিদপুরের ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক এবং বাংলাদেশ আনসারের একটি চৌকস দল অভিযানে সহযোগিতা করেন।

জানা গেছে, কারখানাটি অত্যন্ত নোংরা, স্যাঁতস্যাঁতে, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন। এছাড়া নির্ধারিত স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সংরক্ষণ না করেই ভারত থেকে আমদানিকৃত নিম্নমানের টিনজাত চিটাগুড় (যা গো-খাদ্যে ব্যবহৃত হয়) এর সঙ্গে নিষিদ্ধ হাইড্রোজ, ফিটকিরি, ননফুড গ্রেড ক্ষতিকর রঙ ও ফ্লেভার, পচা মিষ্টি, মিষ্টির নষ্ট গাদ, ময়দা, সোডা, চিনি ব্যবহার করে খেজুর ও আখের গুড় তৈরি করা হয়। কারখানাটি সাধারণত রাতের অন্ধকারে ভেজাল গুড় উৎপাদন করে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলসহ ঢাকা ও রাজশাহীর বাজারে সরবরাহ করে থাকে।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুর রহমান জানান, কারখানায় মালিক পক্ষের কেউ উপস্থিত না থাকায় সাড়ে ৬ হাজার কেজি ভেজাল গুড় এবং শিল্পে ব্যবহার্য কেমিক্যাল জব্দ করে জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।

এছাড়া কারখানাটি সিলগালা করার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য আইনে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এন কে বি নয়ন/এনএইচআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow