ফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শুরু, প্রতি বিষয়ে ফি ১৫০ টাকা

20 hours ago 3

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়া শিক্ষার্থীরা আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে তাদের উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদনের জন্য প্রতিটি পত্রের জন্য ১৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য শুধু https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো অফিসে সরাসরি কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

আবেদনের প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলি

আবেদন পদ্ধতি : শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বোর্ড নির্বাচন করে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ফি ও এসএমএস : প্রতিটি বিষয়ের জন্য ১৫০ টাকা হারে ফি প্রযোজ্য হবে। আবেদনকারীকে একটি কার্যকর মোবাইল নম্বর দিতে হবে, যেখানে ফল প্রকাশের পর এসএমএস পাঠানো হবে।

বিষয় নির্বাচন : পরবর্তী ধাপে শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক ফল দেখতে পারবেন এবং এক বা একাধিক বিষয়ে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য বিষয় নির্বাচন করে ‘ফি প্রদান করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

দ্বিপত্র বিশিষ্ট বিষয় : দ্বিপত্র বিশিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে (যেমন বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) উভয় পত্রের জন্য আবেদন করতে হবে।

ফি পরিশোধ : প্রদেয় ফি বিকাশ, নগদ, সোনালী সেবা, ডিবিবিএল রকেট বা টেলিটক মোবাইল সিমের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। ফি পরিশোধের বিস্তারিত ধাপ ওয়েবসাইটের ‘হেল্প’ বাটনে পাওয়া যাবে।

চূড়ান্ত জমা : ফি পরিশোধের পর ‘জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। ফি পরিশোধের আগে ‘মুছে ফেলুন’ অপশন ব্যবহার করে আবেদন পরিবর্তন করা যাবে। তবে, একবার ফি পরিশোধ হয়ে গেলে আবেদন বাতিল বা সংশোধন করা যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই ফি ফেরত দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৬ অক্টোবর সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ডে একযোগে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষার্থীরা www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে বা মোবাইল ফোন থেকে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে ফলাফল জানতে পেরেছিলেন।

চলতি বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, যা সারা দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল সর্বাধিক—২ লাখ ৯১ হাজার ২৪১ জন। এ ছাড়া আলিম পরীক্ষার্থী ছিল ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন পরীক্ষার্থী ছিল।

Read Entire Article