ফিলিস্তিনিরা ঘরে ফেরার পর এই হামলা, নিহত বাড়ছে

8 hours ago 7

কয়েক সপ্তাহ আগেই গাজার বহু ফিলিস্তিনি নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসতে শুরু করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা ছেড়ে দীর্ঘ সময় শরণার্থী জীবন কাটানোর পর স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিলেন তারা। কিন্তু ইসরায়েলের নতুন হামলা ও উচ্ছেদ আদেশের কারণে আবারও তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সম্প্রতি গাজার বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে খান ইউনুসের দিকে কিংবা গাজার পশ্চিম অংশে ছুটছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৩৩০ জন নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকা পড়ে আছে।  

ইসরায়েল গাজার ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। হামাস ইসরায়েলের এ হামলাকে ‘বিশ্বাসঘাতক ও কাপুরুষোচিত আক্রমণ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটি বলছে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে নিরস্ত্র ও অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দেওয়ার’ অভিযোগ এনেছে।  

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা এগোচ্ছে না বলেই তিনি নতুন করে বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।  

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরুর আগে ট্রাম্পের পরামর্শ নিয়েছিল। ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেই যুদ্ধবিরতির পর গাজায় বড় আকারে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদিকে টানা সহিংসতা ও অবরোধের ফলে গাজায় মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। খাদ্য, পানি, ওষুধ, জ্বালানি—সবকিছুর ভয়াবহ সংকট চলছে। সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা 

Read Entire Article