সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, ফিলিস্তিনে নির্বিচারে গণহত্যা বন্ধ করতে হলে পশ্চিমাদের চাপ প্রয়োগ করতে হবে। সেখানকার মতমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। পশ্চিমাদের বাদ দিয়ে এই সমস্যা সমাধান হবেনা।
শুক্রবার (৩১ মে) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির অয়োজনে এফডিসিতে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ইসরায়েলি আগ্রাসন কতটুকু বন্ধ করতে পারে সেটা চিন্তার বিষয়। আরব বিশ্ব একত্রিত হবে না। আরব জাগরণ ও হবেনা। ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে সবার আন্তরিক হতে হবে। এরইমধ্যে ওআইসি ও আরব লীগ একাধিক সামিট করেছে। তারা কখনো ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করেনা। তারা ইসরায়েলকে চাপে রাখতে কোন পদক্ষেপ নেয় না। মুসলিম বিশ্বের মধ্যে আন্তরিকতা নেই। ব্রাজিলের মত দেশ এত অত্যাচার দেখে তাদের অ্যাম্বাসেডরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। অথচ আমাদের মুসলিম দেশগুলো এখনও উদ্যোগ নেয়নি।
সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরব জাগরণ সেই কবেই বন্ধ হয়ে গেছে। এখন একটাই সমাধান আন্তর্জাতিক সব রাষ্ট্রের স্বদিচ্ছা আর মুসলিমদের ঐক্যই পারে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে।
আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনে হত্যা বন্ধের প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের কোন সক্ষমতা নেই উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, ইউএনও এই ইসরায়েলের ব্যাপারে কিছু করতে পারবেনা। তারা মিডিয়ার মত শুধু ন্যারেটিভ তুলে ধরে। তাদের শক্তি নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিরা, ফ্রান্সের পরামর্শে। তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের আমেরিকাকে বুঝাতে হবে মানবতা রক্ষায় এই হতাকান্ড যেন বন্ধ হয়।
তিনি বলেন, আল জাজিরা ছাড়া পশ্চিমা মিডিয়াগুলো ইসরায়েলের পক্ষে লিখছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে থেকে সামষ্টিক পর্যায়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলতে হবে।
বর্তমান ই-পাসপোর্টে এক্সসেপ্ট ইজরায়েল শব্দটি কেন বাদ দেওয়া হল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল এটা স্টান্ডার্ড করার জন্য। আমি করেছি। এই বাক্যটা কেন বাদ দিয়েছে সেই ব্যাপারে আলাপ হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে আমাকে জানানো হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমি জানি জার্মানির একটা কোম্পানি আমাদের পাসপোর্ট তৈরি করে। তারা নাকি পয়সা বাঁচানোর জন্য এটা বাদ দিয়েছে।
আরএএস/এসআইটি/জিকেএস