বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের (২৪) মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলমের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। ঢাকার আদালতের রামপুরা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর সে বছরের ১৬ এপ্রিল বাদীর নারাজি গ্রহণ করে সিআইডিকে অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশ দেন আদালত।
- আরও পড়ুন
- মাদক-হত্যা নয়, স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দেন ফারদিন: র্যাব
- হতাশা ও টাকার জন্য আত্মহত্যা করেন ফারদিন: ডিবির হারুন
- নিখোঁজের তিনদিন পর শীতলক্ষ্যায় মিললো বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ
২০২২ সালের ৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ফারদিন। ওইদিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের দুদিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ফারদিনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেউলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে মামলা করা হয়। রামপুরা থানায় নিহত ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এ মামলায় গত বছরের ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়। ওইদিনই তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে রামপুরা থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে এ মামলায় গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ মামলায় আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন মঞ্জুর করেন।
এমআইএন/বিএ/এএসএম