বগুড়ায় একদিনেই পেঁয়াজের দাম কমলো ৩০-৫০ টাকা

দুদিন আগেও বগুড়ার পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। অথচ এখন তার চিত্র ঠিক উল্টো। ভারত থেকে আমদানি বাণিজ্যের জন্য নতুন করে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার খবরে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দামে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমেছে ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সাধারণ ক্রেতারা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বগুড়ার বাজারে যে পেঁয়াজ ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, রোববার (৭ ডিসেম্বর) তা নেমে এসেছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। বগুড়া শহরের রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে, যা খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। অন্যদিকে, পুরোনো পেঁয়াজ পাইকারিতে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা এবং খুচরা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ও সরবরাহ ঘাটতির কারণে বগুড়ার বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল লাগামছাড়া। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ টন পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও দামের অস্বাভাবিকতা কিছুতেই কাটছিল না। নতুন পেঁয়াজ ওঠা শুরু হলেও দর কমছিল না। সেই অস্থিরতা যেন এক লহমায় কমে গেলো এলসি

বগুড়ায় একদিনেই পেঁয়াজের দাম কমলো ৩০-৫০ টাকা

দুদিন আগেও বগুড়ার পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। অথচ এখন তার চিত্র ঠিক উল্টো। ভারত থেকে আমদানি বাণিজ্যের জন্য নতুন করে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার খবরে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দামে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমেছে ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সাধারণ ক্রেতারা।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বগুড়ার বাজারে যে পেঁয়াজ ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, রোববার (৭ ডিসেম্বর) তা নেমে এসেছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। বগুড়া শহরের রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে, যা খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। অন্যদিকে, পুরোনো পেঁয়াজ পাইকারিতে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা এবং খুচরা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ও সরবরাহ ঘাটতির কারণে বগুড়ার বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল লাগামছাড়া। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ টন পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও দামের অস্বাভাবিকতা কিছুতেই কাটছিল না। নতুন পেঁয়াজ ওঠা শুরু হলেও দর কমছিল না। সেই অস্থিরতা যেন এক লহমায় কমে গেলো এলসি খোলার খবরে।

রোববার রাজাবাজারের আড়তদার পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, ‌‘সরবরাহ ক্রমেই বাড়ছে। সামনে দাম আরও কমবে। এলসি এলে পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হতে পারে। হঠাৎ করেই এলসি খোলায় বগুড়ার বাজারে দাম অনেকটা কমে এসেছে। অনেকে লোকসানে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল হয়তো দাম আরও কমতে পারে, সেই ভয়ে আজ বাজারে দাম কমেছে। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, নতুন দেশি পেঁয়াজ কিছুদিন পরেই বাজারে স্বাভাবিকভাবে প্রচুর পাওয়া যাবে। তার ঠিক আগে এভাবে এলসি খোলায় তাদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

এসআর/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow