বগুড়ায় তিনদিনের ব্যবধানে কমেছে আলুর দাম। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) জেলার বিভিন্ন বাজারে ২০০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে ৪০০ টাকা কেজি পর্যন্ত চলে গিয়েছিল আলুর দাম।
জেলার ফতেহ আলী ও রাজা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, নতুন পাগরি জাত আলু ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, সাদা বা ক্যারেজ আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সরবরাহ কিছুটা বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম কমে এসেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন।
বাজার করতে আসা মহাদেব ঘোষ নামে এক ক্রেতা জানান, নবান্ন উপলক্ষে তিনি আলু কিনেছিলেন ৪০০ টাকা কেজি দরে। আজ কিনছেন মাত্র ২০০ টাকা কেজি। বাজারে আলুর দাম বাড়ানোর মূল কারণ হল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।
জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদি হাসান বলেন, এখনও নতুন আলুর পুরোপুরি সংগ্রহ শুরু হয়নি। কিছুদিন পর সরবরাহ বাড়বে। তখন দাম আরও কমতে পারে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করে বাজারে দাম বাড়িয়ে দেয়।
এছাড়া ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাধারণত আলু উত্তোলন শুরু হলে দাম আরও কমবে এবং বাজারে মজুদ থাকলে দাম স্থিতিশীল থাকবে। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট এবং বাজার মনিটরিংয়ের অভাব কিছুটা বাজার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে থাকে।
বাজারের বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী, আলুর দাম কমলেও ভোক্তাদের উদ্বেগ কাটেনি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগকেও বাজার মনিটরিং আরও তীব্র করার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
আরএইচ/জিকেএস