বগুড়ায় ভস্মীভূত ভবনে মরদেহ, গুমের চেষ্টায় আটক ২

3 months ago 48

বগুড়ার শেরপুরে বাণিজ্যিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পর এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের নাম রহমত আলী (৩২)। তিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বোঙ্গাবাসর গ্রামের আসান সরদার ওরফে আসান আলীর ছেলে। তিনি তেলবাহী লরির চালকের সহকারী (হেলপার) ছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির মরদেহ গুমের চেষ্টা চালানোর ঘটনা নানামুখি প্রশ্ন ও রহস্যের জন্ম দিয়েছে। তাই ঘটনা উদঘাটনে দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা সদর থেকে মরদেহ পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ট্রাক জব্দ করাসহ তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- ট্রাকচালক আনোয়ার হোসেন (৩৭) ও তার সহকারী শিপন আহমেদ (২৫)।

এরআগে শনিবার (১ জুন) দিনগত রাত ১১টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন পৌরশহরের হাসপাতাল রোডের দুলাল কমপ্লেক্সে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে ভবনটির নিচতলায় থাকা অনুমোদনহীন মিনি জ্বালানি তেলের ডিপো বলে পরিচিত লেমন এন্টারপ্রাইজ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে কোটি টাকার মতো ক্ষয়-ক্ষতি হয়।

এ সময় ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শহিদুল ইসলাম ও আছের আলী অগ্ধিদগ্ধ হন। বর্তমানে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার পরদিন রোববার দুপুরের পর দুই ব্যক্তি আগুনে ভস্মীভূত হওয়া ভবনের ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় তারা মানুষের হাড়, চামড়া দেখতে পান। তখন তারা আর পরিষ্কার না করে ঘটনাটি ব্যবসায়ী ও ভবন মালিক পক্ষের লোকজনকে জানান। পরবর্তীতে মরদেহটি উদ্ধার করে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ট্রাকে তুলে মরদেহ শাহজাদপুরে নিয়ে যান আটক ব্যক্তিরা। কিন্তু সেখানে নেওয়ার পর ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় ট্রাকচালক ও তার সহকারীকে আটক করেন এলাকাবাসী। একপর্যায়ে ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রথমে শাহজাদপুর থানায় এবং পরবর্তীতে শেরপুর থানায় জানানো হয়।

শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন শাহজাদপুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে বগুড়ায় মর্গে পাঠান। সেইসঙ্গে মরদেহ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটি জব্দ করাসহ চালক-হেলপারকে আটক করে থানায় আনা হয়।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগুন লাগা ভবন থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ কেন গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে, সেটি অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অচীরেই রহস্যের জট খুলবে। এই ঘটনায় আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এফএ/জিকেএস

Read Entire Article