কুমিল্লার পদুয়ার বাজারে কাভার্ডভ্যান চাপায় প্রাইভেটকারে একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় সেই ইউটার্ন বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ২৩ বীরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহমুদুল হাসান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান ও হাইওয়ে পুলিশের লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আদেল। এ সময় সেই ইউটার্নটিতে প্লাস্টিকের তৈরি অস্থায়ী ডিভাইডার বসানো হয়।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) কুমিল্লার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান ইবনে হাসান বলেন, এই ইউটার্নটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রোববার (২৪ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে প্রশাসনের আরও একটি সভা হবে। সেখানে ইউটার্নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে আপাতত ইউটার্নটি বন্ধ রাখা হবে। এখন থেকে এই ইউটার্নের পরিবর্তে সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের পাশের দয়াপুর এলাকা দিয়ে ইউটার্ন করবে পরিবহন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর শুক্রবার রাতে নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কাভার্ডভ্যান ও হানিফ পরিবহন বাসের অজ্ঞাতপরিচয় চালকদের আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিমেন্টবোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান একটি প্রাইভেটকারের ওপর আছড়ে পড়ো। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের চারজন নিহত হন।
নিহতরা হলেন- জেলার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)।
জাহিদ পাটোয়ারী/বিএ