বন্ধ ক্যাম্পাসে শত মণ গাছের গুঁড়ি পাচারের অভিযোগ

3 months ago 27

ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলাকালীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থেকে কেটে রাখা শত মণ গাছের গুঁড়ি পাচারের অভিযোগ উঠেছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের কর্মচারী ফরিদুল ইসলাম গোপনে এসব গুঁড়ি সরিয়ে নেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আনসার সদস্যরা জানান, গত ১৪ জুন ভোর ৫টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে ৭-৮টি ভ্যানযোগে গাছের গুঁড়ি ও ডালপালা বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় আনসার সদস্যরা ভ্যান বের হতে বাঁধা দিলে ওই কর্মচারী সশরীরে উপস্থিত হয়ে ভ্যানগুলো বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। ভ্যান যাতায়াতের সময় অভিযুক্ত কর্মচারী মোটরসাইকেলে করে টহল দেন। ভ্যানে গাছের গুঁড়ি সরিয়ে নেওয়া এবং ওই কর্মচারীর চলাচলের একটি ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে ফটকের বাইরে ও ভেতরে যাওয়া-আসা করছেন। এসময় গাছের গুঁড়িভর্তি কয়েকটি ভ্যান বের হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মালি আলতাফ হোসেন বলেন, ‘ঈদের ছুটির আগে বিভিন্ন জায়গায় ১০০-১৫০ মণের মতো খড়ি কেটে রেখে গিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে ফিরে দেখি এর কিছুই নেই।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মচারী ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একটি ভ্যানে কিছু খড়ি নিয়ে যাচ্ছিলাম। প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (আব্দুস সালাম সেলিম) স্যারের সঙ্গে কথা বলেই নিয়েছিলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র কর্মচারী বাধা দিলে সেগুলো আনসার ক্যাম্পের সামনে রেখে আসি।’

প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, ‘আমাকে বলেছিল কিছু ছোটখাটো খড়ি আর পাতা নিয়ে যাবে। তাই বাধা দেইনি। যখন শুনলাম তিন ভ্যান খড়ি নিয়ে গেছে, আমি তাকে সব ফেরত দিয়ে যেতে বলেছি। এটা অবশ্যই চুরি এবং বড় অপরাধ।’

বন্ধ ক্যাম্পাসে শত মণ গাছের গুঁড়ি পাচারের অভিযোগ

তিনি আরও বলেন, ‘সিকিউরিটির দায়িত্বে থেকে এমন কাজ করা মোটেও সমীচীন নয়। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ভিসি স্যার বাকি ব্যবস্থা নেবেন।’

এস্টেট অফিসের প্রধান শামছুল ইসলাম জোহা বলেন, আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রক্টরের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছি। বাকি ব্যবস্থা প্রশাসন নেবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘অভিযুক্ত ফরিদুল ইসলাম এস্টেট অফিসের কর্মচারী। তাই সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে এস্টেট প্রধান বরাবর নোট দিয়েছিলাম। তারা প্রতিবেদন দেওয়ার পর নোট আকারে রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়েছি। বাকি ব্যবস্থা প্রশাসন নেবে।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘প্রক্টর অফিস থেকে একটি নোট পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে খুব শিগগির তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’

মুনজুরুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস

Read Entire Article