বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে পুরো বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
গ্রিসে বন্ধুদের সঙ্গে মজা ও বাজির ছলে একটি পুরো হ্যামবার্গার একবারে না চিবিয়ে গিলতে গিয়ে ২২ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই যুবকের নাম মাকিস। তিনি থেসালোনিকি এলাকায় বসবাস এবং পাইরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। ২১ নভেম্বর প্রকাশিত স্থানীয় গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে জানা গেছে, কোরোপি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে খেতে বসেছিলো ওই যুবক। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে তারা নিজেদের মধ্যে বাজি ধরেন- কে পুরো হ্যামবার্গার না-চিবিয়ে একবারে গিলে ফেলতে পারে। চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিষয়টি গ্রহণ করে যুবকটি দ্রুত হ্যামবার্গার মুখে দেন এবং গিলে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই বিপত্তি ঘটে। বিশাল খাবারটি তার শ্বাসনালি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। শ্বাস নিতে না পেরে তিনি রেস্তোরাঁর বাইরে দৌড়ে গিয়ে দেয়ালে আঘাত করে শ্বাসপথ খুলতে চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। বন্ধুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। অচেতন অবস্থায় তাকে দ্রুত জি. জেনিমাটাস হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসকরা প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা চালান। তবে দীর্ঘ সময় অক্সিজেন না পাওয়ায় তার মস্তিষ্কস
গ্রিসে বন্ধুদের সঙ্গে মজা ও বাজির ছলে একটি পুরো হ্যামবার্গার একবারে না চিবিয়ে গিলতে গিয়ে ২২ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই যুবকের নাম মাকিস। তিনি থেসালোনিকি এলাকায় বসবাস এবং পাইরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন।
২১ নভেম্বর প্রকাশিত স্থানীয় গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে জানা গেছে, কোরোপি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে খেতে বসেছিলো ওই যুবক। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে তারা নিজেদের মধ্যে বাজি ধরেন- কে পুরো হ্যামবার্গার না-চিবিয়ে একবারে গিলে ফেলতে পারে। চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিষয়টি গ্রহণ করে যুবকটি দ্রুত হ্যামবার্গার মুখে দেন এবং গিলে ফেলার চেষ্টা করেন।
কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই বিপত্তি ঘটে। বিশাল খাবারটি তার শ্বাসনালি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। শ্বাস নিতে না পেরে তিনি রেস্তোরাঁর বাইরে দৌড়ে গিয়ে দেয়ালে আঘাত করে শ্বাসপথ খুলতে চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। বন্ধুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অচেতন অবস্থায় তাকে দ্রুত জি. জেনিমাটাস হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসকরা প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা চালান। তবে দীর্ঘ সময় অক্সিজেন না পাওয়ায় তার মস্তিষ্কসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে মারাত্মক ক্ষতি সৃষ্টি হয়।
এক সপ্তাহ ধরে জীবনযুদ্ধের পর শেষে চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ২২ বছর বয়সেই থেমে যায় তার প্রাণোচ্ছল জীবন।
চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেছেন, এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ যে কোনো মুহূর্তে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
মতিউর রহমান মুন্না/এমআরএম/এমএস
What's Your Reaction?