বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাটি কেটে বিক্রি, ঝুঁকিতে ৪ গ্রাম

বরগুনার আমতলীর চাউলা গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন চর কেটে মাটি বিক্রি করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী খালেক মৃধা নামক জনৈক ব্যক্তি। গভীর গর্ত করে মাটি কেটে বিক্রি করায় বাঁধসহ আশপাশের বাড়িঘর এখন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এতে বর্ষা মৌসুমে নদীর পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে কয়েকটি গ্রাম—এমনটাই আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঢালের চরের মাটি এমনভাবে গভীর করে কাটায় যে কোনো সময় বাঁধ ধসে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. মানিক বলেন, যেভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঢালের চরের মাটি কেটে বিক্রি করা হয়েছে তাতে বর্ষা মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাঁধ ধসে পড়তে পারে।  আর ধসে পড়লে চাউলা গ্রামসহ ৩/৪টি গ্রামের মানুষের বাড়িঘরসহ ফসলি জমি প্লাবিত হয়ে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।  এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত খালেক মৃধার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।  বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসংলগ্ন চরের জমির মাটি কেটে বিক্রি করেছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। সরেজমিন তদন্তপূর্বক আইনগ

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাটি কেটে বিক্রি, ঝুঁকিতে ৪ গ্রাম

বরগুনার আমতলীর চাউলা গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন চর কেটে মাটি বিক্রি করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী খালেক মৃধা নামক জনৈক ব্যক্তি। গভীর গর্ত করে মাটি কেটে বিক্রি করায় বাঁধসহ আশপাশের বাড়িঘর এখন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এতে বর্ষা মৌসুমে নদীর পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে কয়েকটি গ্রাম—এমনটাই আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঢালের চরের মাটি এমনভাবে গভীর করে কাটায় যে কোনো সময় বাঁধ ধসে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মানিক বলেন, যেভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঢালের চরের মাটি কেটে বিক্রি করা হয়েছে তাতে বর্ষা মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাঁধ ধসে পড়তে পারে।  আর ধসে পড়লে চাউলা গ্রামসহ ৩/৪টি গ্রামের মানুষের বাড়িঘরসহ ফসলি জমি প্লাবিত হয়ে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। 

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত খালেক মৃধার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসংলগ্ন চরের জমির মাটি কেটে বিক্রি করেছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। সরেজমিন তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে আমতলীর সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আশরাফুল ইসলাম ও বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হান্নান প্রধান কালবেলাকে বলেন, ‘তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow