বন্যা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬১১

বন্যায় বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় শনিবার(৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৬১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২১৩ জন। এছাড়া কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টিপাত ও পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) জানিয়েছে, মালওথু ওয়া এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সামান্য বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া শনিবার (৬ তারিখ) বিকেলে পশ্চিম ও সাবারগোমুয়া প্রদেশসহ গলে ও মাতারা জেলায় বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর, উত্তর-মধ্য, পূর্ব ও উভা প্রদেশসহ মাতালে জেলাতেও দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। ইরিগেশন বিভাগ জানিয়েছে, দেশের মোট ৭১টি জলাধারের মধ্যে ৩৬টি প্রধান জলাধারের পানি উপচে পড়ছে। ঘূর্ণিঝড় দিতওয়ার প্রভাবে সৃষ্ট ভয়াবহ এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডি জেলায়। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, এ দুর্যোগে ২৫ জেলায় ৫ লাখ ৭৬ হাজার পরিবারের ২০ লাখ ৫৪ হাজার মানুষ এ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৩,৬২২ পরিবারের ১,১৪,১২৬ জনকে ৯৫৬টি ত্রাণকেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগে ৪ হাজার ৩০৯টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্

বন্যা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬১১

বন্যায় বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় শনিবার(৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৬১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২১৩ জন। এছাড়া কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টিপাত ও পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) জানিয়েছে, মালওথু ওয়া এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সামান্য বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া শনিবার (৬ তারিখ) বিকেলে পশ্চিম ও সাবারগোমুয়া প্রদেশসহ গলে ও মাতারা জেলায় বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর, উত্তর-মধ্য, পূর্ব ও উভা প্রদেশসহ মাতালে জেলাতেও দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হতে পারে।

ইরিগেশন বিভাগ জানিয়েছে, দেশের মোট ৭১টি জলাধারের মধ্যে ৩৬টি প্রধান জলাধারের পানি উপচে পড়ছে।

ঘূর্ণিঝড় দিতওয়ার প্রভাবে সৃষ্ট ভয়াবহ এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডি জেলায়। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, এ দুর্যোগে ২৫ জেলায় ৫ লাখ ৭৬ হাজার পরিবারের ২০ লাখ ৫৪ হাজার মানুষ এ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৩,৬২২ পরিবারের ১,১৪,১২৬ জনকে ৯৫৬টি ত্রাণকেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া দুর্যোগে ৪ হাজার ৩০৯টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে এবং আরও ৬৯ হাজার ৬৩৫টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

বিদ্যুৎ ও সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় এখনো নেই বিদ্যুৎ কিংবা নিরাপদ পানি। কেলানি নদীর পানির স্তর দ্রুত বাড়তে থাকায় কয়েকটি এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসের পরিস্থিতি এখনও গুরুতর হওয়ায় উদ্ধারকাজে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।

সূত্র: আদা-দিরানা

কেএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow