বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্ধার, ত্রাণ কার্যক্রম ও চিকিৎসা সেবা ত্বরান্বিত করতে ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়িয়ে বর্তমানে সেনাবাহিনীর ৩০টি, নৌবাহিনীর ২টি, বিমান বাহিনী ১টি এবং কোস্ট গার্ডের ২টিসহ মোট ৩৫টি ক্যাম্প মোতায়েন করা রয়েছে।
পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী বর্তমানে ২ হাজার ৭৭৮ জন সদস্য ৯৮টি বোট ও ৯টি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সশস্ত্র বাহিনী মোট ৫০ জন বন্যা দুর্গত ব্যক্তিকে উদ্ধার, ৫৬ হাজার ৩৮৭ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী এবং ১ হাজার ১৫০ জনকে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছে।
এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে অস্থায়ী মেডিকেল টিমের মাধ্যমে শনিবার ৮ হাজার ৬৮৬ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কুমিল্লায় গোমতী নদীর বাঁধ পুনঃসংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সহায়তা করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফেনী ও ভোলার বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন শনিবার ফেনী জেলার দুর্গাপুরে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি ফেনী জেলার দুর্গাপুর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বিমানবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিদর্শন করেন এবং বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
টিটি/এসআইটি/এমএস