বন্যাদুর্গত ৫ জেলায় যাচ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের আরও ৯ লরি ত্রাণ

দেশে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে এবারও বড় উদ্যোগ নিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। এরই মধ্যে কয়েক দফায় বন্যাকবলিত এলাকায় ফাউন্ডেশনটির উদ্যোগে মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে ত্রাণসামগ্রী।

রাজধানী ঢাকায় ত্রাণসামগ্রী প্যাকেটিংয়ের পর তা ট্রাক ও লরিতে করে রওনা হচ্ছে বন্যাকবলিত জেলাগুলোর অভিমুখে। শনিবারও (২৪ আগস্ট) আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুতির কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এদিন ৯টি লরি বোঝাই করা হয়েছে। রাতেই সেগুলো বন্যাকবলিত অঞ্চলের দিকে রওনা হবে।

রোববার (২৫ আগস্ট) সেগুলো নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন স্পটে দুর্গত মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে। শনিবার রাত ৯টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, আজও ছিল একটি কর্মব্যস্ত দিন। স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় আজ সারাদিনে ৯ লরি ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলো ইতোমধ্যে দুর্গত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও লেখেন, ৫টি লরিতে আছে ৫ হাজার পরিবারের জন্য ভারী প্যাকেজ। প্রত্যেক পরিবারের জন্য রয়েছে ১০ কেজি চাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি ও ১ কেজি লবণ।

‘৪টি লরিতে যাচ্ছে ৭ হাজার ৬০০ প্যাকেট শুকনা খাবার। প্রত্যেক প্যাকেটে রয়েছে ২ কেজি খেজুর, ২ কেজি চিড়া, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি, ও বোতলজাত পানি। এছাড়া আমাদের ত্রাণসামগ্রীতে রয়েছে মোমবাতি, দিয়াশলাই ও স্যানিটারি ন্যাপকিন।’

শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও উল্লেখ করেন, এসব ত্রাণসামগ্রী আগামীকাল (রোববার) নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন স্পটে বিতরণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।

এর আগে রাত ৮টার দিকে একটি পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, মানুষের পাশাপাশি তারা ভেবেছেন গৃহপালিত পশুর কথাও। গো-খাদ্য হিসেবে দুর্গত এলাকার জন্য রওনা হচ্ছে ৬৭ দশমিক ৩৭ টন ভুসি। এগুলো বন্যাদুর্গত ৪টি জেলা ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্পটে বিতরণ করা হবে।

এএএইচ/এমকেআর