বন্যার্তদের পাশে কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী

1 month ago 15

টানা বৃষ্টিপাত ও উজানে ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে তলিয়ে গেছে দেশের ১১ জেলার নিম্নাঞ্চল। নতুন করে বন্যার পানিতে ডুবেছে কয়েকটি জেলা। জনগণের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের অংশ হিসেবে একদিনের বেতন দিয়ে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। একই সঙ্গে বন্যার্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।

সোমবার (২৬ আগস্ট) কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (সিএইচসিপি) সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের বন্যায় এক নতুন বাংলাদেশ দেখেছে বিশ্ব। যে যেভাবে পারছে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রত্যেকে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এরইমধ্যে প্রবল এই বন্যায় বানভাসিদের মাঝে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে নিজেদের এক দিনের বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীরা বন্যা দুর্গত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র থেকে শুরু করে বন্যার্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। বিতরণ করছেন জরুরি ওষুধপত্র, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। কিছু জায়গায় তৈরি খাবার এবং ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করছেন।

বন্যার্তদের পাশে কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পানিবন্দি শিশু, নারী-পুরুষ এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের সংগঠন সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশে বন্যা ভয়াবহ পরিস্থিতি রূপ নিয়েছে। আমাদের নিজেদেরও বেতন দীর্ঘদিন বন্ধ। তবুও এই মুহূর্তে বন্যার্ত ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সবাই যার যেমন সামর্থ্য আছে সেখান থেকে ততটুকুই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

স্বাস্থ্যকর্মী আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা করোনার সময় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ছিলাম। শুধু মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়েছি। বর্তমানে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবার পাশে আছি। আমাদের অনেক ক্লিনিক বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। ওষুধপত্র নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়েছি। সেখান থেকে ওষুধ নিয়ে প্রতিদিন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিচ্ছি।

এএএম/এসআইটি/জেআইএম

Read Entire Article