বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ

ফ্যাসিষ্টদের রক্ষায় ও আইন শৃংখলা অবননতি ঘটনানোর নতুন কৌশল করছে আওয়ামীলীগের একজন পোষ্য পুলিশ অফিসার শিবলী কায়সার। তিনি তার দল নিয়ে সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনীতে গ্রুপিং সৃষ্টি, দক্ষ পুলিশ অফিসার, যারা বিগত সরকারের আমলে পদ উন্নতি বঞ্চিত ছিল ও বর্তমানে পুলিশ বাহিনীকে সু-শৃংখল অবস্থায় নিয়ে এসেছে এসব পুলিশ অফিসারদের বির্তকিত করার জন্য নানা রকম অপতৎপরতা শুরু করেছেন। একটি সুত্র জানায়, পুলিশ হেডকোয়াটার্স এর একটি তদন্ত রিপোর্টে সেই বিষয়টি এখন বেরিয়ে এসেছে । যখন ঐ পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তখনই সে বিভিন্ন রকম অপতৎপরতা শুরু করেছে। পুলিশের কিছু দক্ষ ও সততার সাথে দায়িত্ব পালনকারী অফিসারদের নামে একটি কাল্পনিক গোয়েন্দা রিপোর্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এর নেপথ্যে কারন হলো যাতে পুলিশের মধ্যে দ্বি-ভাজন সৃষ্টি করে অস্থিরতা তৈরি করে আইন শৃংখলা অবনতি ঘটনানো এবং ফ্যাসিষ্ট সরকারে পুলিশ অফিসারদের রক্ষা করা। তাদের অন্যতম একজন হচ্ছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক এসপি ক্রাইম শিবলী কায়সার। তিনি সাময়িক বরখাস্ত হয়ে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ

ফ্যাসিষ্টদের রক্ষায় ও আইন শৃংখলা অবননতি ঘটনানোর নতুন কৌশল করছে আওয়ামীলীগের একজন পোষ্য পুলিশ অফিসার শিবলী কায়সার। তিনি তার দল নিয়ে সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনীতে গ্রুপিং সৃষ্টি, দক্ষ পুলিশ অফিসার, যারা বিগত সরকারের আমলে পদ উন্নতি বঞ্চিত ছিল ও বর্তমানে পুলিশ বাহিনীকে সু-শৃংখল অবস্থায় নিয়ে এসেছে এসব পুলিশ অফিসারদের বির্তকিত করার জন্য নানা রকম অপতৎপরতা শুরু করেছেন।

একটি সুত্র জানায়, পুলিশ হেডকোয়াটার্স এর একটি তদন্ত রিপোর্টে সেই বিষয়টি এখন বেরিয়ে এসেছে । যখন ঐ পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তখনই সে বিভিন্ন রকম অপতৎপরতা শুরু করেছে। পুলিশের কিছু দক্ষ ও সততার সাথে দায়িত্ব পালনকারী অফিসারদের নামে একটি কাল্পনিক গোয়েন্দা রিপোর্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এর নেপথ্যে কারন হলো যাতে পুলিশের মধ্যে দ্বি-ভাজন সৃষ্টি করে অস্থিরতা তৈরি করে আইন শৃংখলা অবনতি ঘটনানো এবং ফ্যাসিষ্ট সরকারে পুলিশ অফিসারদের রক্ষা করা। তাদের অন্যতম একজন হচ্ছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক এসপি ক্রাইম শিবলী কায়সার। তিনি সাময়িক বরখাস্ত হয়ে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি নানা অনিয়মের জন্য এই নিয়ে তিনবার পুলিশের চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন।

সাবেক পুলিশ সুপার শিবলী কায়সার এর পিসিআর অনুযায়ী জানা যায়, তিনি ছাত্র জীবনে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয় ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও সহ সভাপতি ছিলেন, পরবতীতে পুলিশে যোগদান করে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে নানা ভাবে পদন্নতি নেন। ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হলে সে রুপ পাল্টে নেয়। বৈষম্য বিরোধী মামলার আসামিদের রক্ষার নামে চাঁদাবাজি ও আওয়ামী পুলিশ ফ্যাসিষ্টদের রক্ষায় নানা অপতৎপরতা শুরু করে।

ঘুষ–বাণিজ্য ও থানায় মামলার বাদীকে মারধরের অভিযোগ ওঠার পর রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সারকে প্রত্যাহার করা হয়। রংপুর মহানগর পুলিশ থেকে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশের সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রংপুর মহানগর পুলিশের আরেক উপকমিশনার (অপরাধ) হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর পরেই সেই বরখাস্ত পুলিশ অফিসার শিবলী কায়সার নানা রকম অপতৎপরতা শুরু করেন।

তার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘গোপনীয়’ লেখা কিছু ভুয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদন ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তি এবং পুলিশের কিছু কর্মকর্তাকে জড়িয়ে তৈরী করা হয়েছে ভুয়া গল্প। এই গোপন প্রতিবদনের পেছনে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এসপি শিবলী কায়সার বলে অভিযোগ করেছেন রংপুর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী সামসুজ্জামান সামু। বর্তমানে শিবলী কায়সার সামরিয়ক বরখাস্ত রয়েছেন। এরআগেও তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দুইবার বরখাস্ত হয়েছিলেন।

সুত্রপাত যেভাবে: গত দুইদিন আগে বিষয়টি সামনে আসে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের ফ্র্যান্স প্রবাসী অনলাইন এক্টিভিটিস এর ফেসবুক পোষ্টে। তিনি সর্ব প্রথম পোষ্ট করার পরেই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এবিষয়ে মঙ্গলবার ( ২৫ নভেম্বর) যোগাযোগ করা হলে সামু এমন অভিযোগ করেন। সামসুজ্জামান সামু বলেন, একজন নারীর কাছে চাঁদাদাবীর ঘটনায় এসপি শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা হয়েছে। এরপর থেকে তিনি নানাভাবে আমার নামে কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। আমাকে নির্বাচনে জিততে দিবেন না এমন কথাও বলছেন। আবার আমাকে জড়িয়ে ভুয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরী করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়াচ্ছেন। সেখানে বলা হচ্ছে ওবায়দুল কাদের এবং বিপ্লব সরকারকে আমি টাকার বিনিময়ে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করি। এমন কল্পকাহিনী ছড়িয়ে তিনি আমার নির্বাচনী ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। একজন সাময়ীক বরখাস্ত হওয়া এসপি কিভাবে এসব কাজ করেন। আমি এসবে ভয় পাই না। আমি একজন রাজনীতিবিদ। কিন্তু সরকারের দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের সম্পৃক্ত করে মিথ্যাচার করছেন শিবলী কায়সার। তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, রংপুরের সাবেক এসপি(ক্রাইম) শিবলী কায়সার একজন চাঁদাবাজ, সে বিভিন্ন রকম চাঁদাবাজি করে আওয়ামী ফ্যাসিষ্টদের রক্ষা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। সে মাদকাসক্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে কথা বলে, সে গাজা ও লাল পানি খেয়ে মাতলামি করে। সে একটা নারীবাজ লোক। সে রংপুরে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও নারী বাজি করে ধরা খেয়ে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে।

শিবলী কায়সার ২৮ বিসিএস ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তা। সর্বশেষ রংপুরে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ ওঠে। লিপি ভরসা নামের একজন নারী উদ্যক্তা ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেন। পরে ওই ব্যবসায়ী তার ম্যানেজার পলাশকে থানায় মামলা করতে পাঠান। মামলায় নিজের নাম রয়েছে জেনে শিবলী কায়সার তাকে মারধর করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সেবা নিতে আসা বাবা ছেলেকে উল্টো থানা হেফাজতে পাঠিয়ে হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটি শিবলী কায়সারের শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে গত ১৩ নভেম্বর রংপুরের হারাগাছের ব্যবসায়ী লিপি খান ভরসার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। মামলার পর রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক অমিত বণিকের মাধ্যমে লিপি খানের কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ ওঠে পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ১১ মার্চ পুলিশ সদর দপ্তরে শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন লিপি খান। অভিযোগের সঙ্গে অমিত বণিকের সঙ্গে ঘুষ দাবির কথোপকথনের কয়েকটি অডিও রেকর্ড জমা দেন লিপি খান। বিষয়টি সার্বিক তদন্ত করে শিবলী কায়সারের শৃঙ্খলা ভঙ্গে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে বলা হয়, গত ১১ মার্চ পুলিশ সদর দপ্তরে শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ করেন রংপুরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী করিম উদ্দীন ভরসার পুত্রবধূ লিপি খান ভরসা। এর দুদিন পর লিপির পক্ষে তার প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা রংপুর কোতয়ালী থানায় শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করতে এলে তাকে ডিসি শিবলী মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরমধ্যে ১৬ মার্চ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়কার একটি মামলায় লিপিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাময়িক বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, ‘বেসামরিক ব্যক্তির প্রতি তার এমন উগ্র আচরণ ও আক্রোশ থাকায় এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান থাকায় তিনি কর্মরত থাকলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।’

এর আগে, রংপুরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল থেকে জাহাজ কোম্পানি মোড়ে হামলায় গুরুতর আহত জিয়া মঞ্চের নেতা লুসার আহমেদ ব্যবসায়ী অমিত বণিককে আসামি করে মামলা করলে শিবলী কায়সার নিজে থানায় উপস্থিত হয়ে তার নাম কেটে দেন। এ সময় এক বিএনপি নেতা আপত্তি করলে উল্টো তাকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন শিবলী কায়সার।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে এসপি শিবলী কায়সারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, আমি গোয়েন্দা রিপোর্ট পুলিশ হেডকোয়াটার্স করি বিএনপির এমপি প্রার্থী সামসুজ্জামান সামু আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পুলিশে এসপি বিপ্লব সরকার কে রংপুর সীমান্ত দিয়ে পাড় করে ভারতে দিয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো গোয়েন্দা রিপোর্ট অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। আমি আইনানুগ ভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ অনুস্বরণ করবো।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow