বরখাস্তের প্রতিবাদে অনশনের ঘোষণা নটর ডেম কলেজের সাত শিক্ষকের
বিভিন্ন অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ময়মনসিংহের নটর ডেম কলেজের সাতজন স্থায়ী শিক্ষক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময় তারা তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগকে মিথ্যা ও বরখাস্তের আদেশকে অবৈধ বলে দাবি করেন। একই সঙ্গে তারা প্রশাসনের নানা অনিয়ম তুলে ধরে বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার না করলে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি করেন। তারা পূর্বের অভিযোগ বাতিল এবং স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান। সেইসঙ্গে তাদের প্রাপ্য পাওনাদি প্রদানের বিষয়সহ ছয় দফা দাবি পেশ করেন। দাবি আদায় না হলে বুধবার (১৯ নভেম্বর) থেকে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বরখাস্ত হওয়া রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজার রহমান রানা। অভিযোগ করে বলা হয়, কলেজের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ডে অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি চলছে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বেশ কয়েকজন শিক্ষককে প্রমোশন দেওয়া হয়নি যদিও ৫ বছর পরপর প্রমোশনের নিয়ম রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক প্রতিনিধি নি
বিভিন্ন অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ময়মনসিংহের নটর ডেম কলেজের সাতজন স্থায়ী শিক্ষক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময় তারা তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগকে মিথ্যা ও বরখাস্তের আদেশকে অবৈধ বলে দাবি করেন। একই সঙ্গে তারা প্রশাসনের নানা অনিয়ম তুলে ধরে বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার না করলে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি করেন। তারা পূর্বের অভিযোগ বাতিল এবং স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান। সেইসঙ্গে তাদের প্রাপ্য পাওনাদি প্রদানের বিষয়সহ ছয় দফা দাবি পেশ করেন। দাবি আদায় না হলে বুধবার (১৯ নভেম্বর) থেকে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বরখাস্ত হওয়া রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজার রহমান রানা। অভিযোগ করে বলা হয়, কলেজের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ডে অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি চলছে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বেশ কয়েকজন শিক্ষককে প্রমোশন দেওয়া হয়নি যদিও ৫ বছর পরপর প্রমোশনের নিয়ম রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন না করে অধ্যক্ষ একচেটিয়া প্রশাসনিক কর্তৃত্ব বজায় রেখেছেন। কলেজের অভ্যন্তরে তথ্য গোপন, জবাবদিহিতার অভাব ও পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনেও রয়েছে অনিয়ম ও অসদাচরণ। এসব বিষয়ে শিক্ষকরা পূর্বে আন্দোলন করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের প্রাপ্য ৬০ লাখ টাকা ফেরত দেন ও পরবর্তীতে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। এদিকে প্রতিবাদী শিক্ষকদের হেনস্তা করতে আইন ও জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে অধ্যক্ষ ড. ফা. থাদেউস হেম্ব্রম সাতজন শিক্ষককে বরখাস্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকেরা বরখাস্তের আদেশকে অবৈধ, ও অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সঙ্গে আর্থিক অনিয়ম, প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা ও রাষ্ট্রীয় নির্দেশ অমান্যের নিন্দা জানিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এসময় বরখাস্ত হওয়া ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক জহিরুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মাহামুদুল হাসান মামুন, জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মাহমুদ হাসান ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট নটর ডেম কলেজের শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধে, শিক্ষার পরিবেশ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ১৯ দফা দাবি উত্থাপন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। ওইদিন তারা অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এমএন/এমএস
What's Your Reaction?