বরগুনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিশেষ অভিযানে তিন ভুয়া চিকিৎসককে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং একজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ্।
শনিবার (২৭ জুন) রাতে বরগুনা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জরিমানাপ্রাপ্তরা হলেন—বিধান চন্দ্র সরকার, ইদ্রিস আলম এবং জাহাঙ্গীর হোসেন। এদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে মোট তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, জহিরুল ইসলাম সৌরভ নামের আরেকজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বরগুনা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভুয়া চিকিৎসক আটকে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) সনদপ্রাপ্ত না হয়েও চিকিৎসা করায় চারজনকে আটক করা হয়।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ্ নিজে উপস্থিত থেকে এ অভিযান পরিচালনা করেন। পরে এর মধ্যে তিনজন দোষ স্বীকার করেন আর একজন দোষ স্বীকার না করায় তার বিরুদ্ধে বিএমডিসি আইন ২০১০ এর ২৯ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস আলী ফরাজী জাগো নিউজকে বলেন, বরগুনা পৌর শহরে ভুয়া চিকিৎসক সেজে রোগীদের সাথে প্রতারণা করছিলেন। এমন অভিযোগে চারজনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ্ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনজন দোষ স্বীকার করলে তাদের ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া একজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
নুরুল আহাদ অনিক/এমআরএম