বরগুনার পাথরঘাটায় ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় বরগুনায় নতুন করে আরও ৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ২৩ জন, বেতাগীতে ৭ জন, বামনায় ৫ জন, তালতলীতে একজন এবং পাথরঘাটায় শনাক্ত হয়েছেন ৯ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩৫ জন রোগী। এরমধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে রয়েছেন ৯১ জন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রাখাল বিশ্বাস অপূর্ব ৩ জনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন, এছাড়া ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা আদর্শ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম রেজা।
তারা হলেন, উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘুটাবাছা এলাকার সুজন ঢালীর মেয়ে শুক্লা ঢালী (১৩), আমড়াতলা এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে হাসান (২৫), কাকচিড়া ইউনিয়নের হরিদ্রা এলাকার নাসির মোল্লার ছেলে সিদ্দিক মোল্লা (৪৫) ও পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের রুহিত এলাকার আব্দুর রশিদ মোল্লার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৭৫)।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা রাখাল বিশ্বাস অপূর্ব জাগো নিউজকে বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া তিনজন গতকাল রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এদের মধ্যে সিদ্দিক নামের ডেঙ্গু পজিটিভ রিপোর্ট নিয়ে ভর্তি হন, পরে তার অবস্থান ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই বরিশাল রেফার্ড করা হলেও বরিশাল না নিয়ে থেকে যাওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। অপর দুজনের ডেঙ্গু উপসর্গ থাকলে তাদের পরীক্ষার আগেই মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ জাগো নিউজকে বলেন, গত জুন মাস থেকে বরগুনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার পরে স্বাস্থ্য বিভাগ বরগুনাকে ডেঙ্গুর হটস্পট ঘোষণা করে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবায় আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলো নিরলস ভাবে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
নুরুল আহাদ অনিক/আরএইচ/এএসএম